বিহারের ভোটগণনা, সমস্ত আপডেট দেখতে চোখ রাখুন ডেইলিহান্টে
মাঝে মাত্র একটা রাত। তারপরই ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে বিহারের (bihar) নীতীশ কুমারের (nitish kumar)। তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন, নাকি মহাজোট রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে? ফলাফল যাই হোক ডেইলিহান্টে সকাল থেকে পাবেন যাবতীয় আপডেট খবর। তাই লাইভ আপডেট দেখতে চোখ রাখুন ডেইলিহান্টে।

ভোটের আগে জনমত সমীক্ষায় নীতীশ কুমারের বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ফলে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার চতুর্থবারের জন্য বিহারের সিংহাসনে বসতে চলেছেন। যদিও নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এক্সিট পোলে অন্য তথ্য মিলেছে।
এক্সিট পোলে কার্যত ধাক্কা খেয়েছেন নীতীশ কুমার। নীতীশের চতুর্থবারে মুখ্যমন্ত্রীর আসন দখল খুব যে একটা পরিষ্কার নয়, তাতে আভাস দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে ও এক্সিস মাই ইন্ডিয়ার এক্সিট পোলে জানানো হয়েছে, মহিলাদের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় তেজস্বী যাদব। ৪৩ শতাংশ মহিলা তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৪২ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে আসন দখলের নিরিখে রিপাবলিক ও জন কি বাতের সমীক্ষায় এনডিকে ৯১ থেকে ১১৭ টি আসন দেওয়া হয়েছে। যেখানে ম্যাজিক ফিগার হল ১২২। এবিপি ও সি ভোটারের সমীক্ষায় বলা হয়েছে এনডিএ জোট পেতে পারে ১০৪ থেকে ১২৮ টি আসন। মহাজোট পেতে পারে ১০৮ থেকে ১৩১ টি আসন। টাইমস নাও ও সি ভোটারের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এনডিএ পেতে পারে ১১৬ টি আসন। অন্যদিকে মহাজোট পেতে পারে ১২০ টি আসন।
২০১৫-তে নীতীশ কুমার মহাজোটের হয়ে লড়াই করেছিলেন। ২৪৩ টি আসনের মধ্যে মহাজোট পেয়েছিল ১৭৮ টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ৫৮ টি আসন। নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ২০১৭ সালে জোট ভেঙে বেরিয়ে যান নীতীশ কুমার। বিজেপির সঙ্গে জোটে ফিরে আসেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী থাকা তেজস্বী যাদবের স্বপ্নভঙ্গ হয়।
বিহার বিধানসভায় ২৪৩ আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৪২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিল এলজেপি। কিন্তু তা মানেনি জেডিইউ। ফলে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এলজেপির স্লোগান ছিল শত্রুতা নেই মোদীর সঙ্গে, ছাড়ব না নীতীশকে। চিরাগ পাসোয়ান জানিয়েছিল, বিহারের পরের সরকার এনডিএ-রই হবে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির থেকে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বিহারে প্রচারে গিয়ে জানিয়েছিলেন এনডিএ ক্ষমতায় ফিরলে নীতীশই হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। এবারের নির্বাচনে নীতীশ কুমারের জেডিইউ লড়াই করছে ১১৫ টি আসনে। আর বিজেপি লড়াই করছে ১১০ টি আসনে। বাকি আসন ছাড়া হয়ে এনডিএ-র ছোট জোট শরিকদের। অন্যদিকে মহাজোটে লালু-তেজস্বীর আরজেডি লড়াই করছে ১৪৪ টি আসনে। কংগ্রেস লড়াই করছে ৭০টি এবং বামেরা লড়াই করছে ২৯ টি আসনে।
অক্টোবর ও নভেম্বর মিলিয়ে ৩ টি পর্যায়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ অক্টোবর, ৩ ও ৭ নভেম্বর ভোট হয়েছে। ভোট গণনা হবে ১০ নভেম্বর।