• search
For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

করোনা আবহে ঐতিহ্য মেনেই শ্মশান কালী মায়ের পুজো কাঁকসার বনকাটির রায় পরিবারের

  • By অভীক
  • |

ঐতিহ্য ধরে রাখতে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরম্পরার প্রথায় হবে কাঁকসার বনকাটির রায় পরিবারের শ্মশান কালী মায়ের পুজো। আগামী শনিবার কালীপুজো, তার আগেই চলছে ভগ্নপ্রায় মন্দিরের চলছে সংস্কারের কাজ।

 কালীপুজোর কাহিনী

কালীপুজোর কাহিনী

গ্রামের আদি বাসিন্দারা জানান, রাজা বল্লাল সেনের কুল গুরুর বংশধর। বনকাটি রায় পরিবার। কথিত আছে রাজার আমলে ঘন জঙ্গল কেটে গ্রাম তৈরি হয়। তাই বনকাটি নামকরণ। রাজা বল্লাল সেন বাংলাদেশ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে দীক্ষাগুরু তান্ত্রিক আচার্য মহেশ্বর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে কাঁকসার গড়জঙ্গলে রাজ্যপাট শুরু করেন। অজয় নদী মাধ্যমে ব্যাবসা বাণিজ্যে সুবিধার্থে বনকাটি গ্রাম পর্যন্ত চ্যানেল খাল তৈরি করেন। বনকাটি এলাকা থেকে লাক্ষা ও কাঠ কয়লা কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হত। এবং সেখান থেকে মশলাপাতি নিয়ে আসা হত। এককথায় বনকাটি ছিল রাজা বল্লাল সেনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র। পানাগড়- মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের এগারো মাইল মোড় থেকে পশ্চিম দিকে অজয় নদীর লাগোয়া বনকাটি গ্রাম।

তান্ত্রিক মতে পুজো

তান্ত্রিক মতে পুজো

তৎকালীন সময়ে রাজার কুল গুরু মহেশ্বর প্রসাদ ওই গ্রামেই শ্মশান কালীপুজো শুরু করেন। সম্পূর্ণ তান্ত্রিক মতে পুজো করতেন। কথিত আছে ছাগ, মেষ ও মহিষ বলির পাশাপাশি ওই সময় নরবলিও দেওয়া হত। যদিও বর্তমানে সেসব প্রথা উঠে গেছে। তবে পরিবারের একজন একফোঁটা রক্ত নিবেদন করেন। পরবর্তীকালে মহেশ্বর প্রসাদের বংশধর ব্রিটিশ সঙ্গে কোন মামলায় ডিগ্রি পায়। তখন ব্রিটিশদের কাছ থেকে রায়বাহাদুর খেতাব পায়। আর তারপর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে রায় পদবি হয় আচার্যের বংশধরদের।

টেরাকোটার কাজের মন্দির

টেরাকোটার কাজের মন্দির

এছাড়াও রায় পরিবারের পূর্ব পুরুষরা যাতে জল পায়, তার জন্য তাদের নামে পাঁচটি শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহেশ্বর প্রসাদের এক বংশধর লক্ষ্মীকান্ত রায়। সেসব মন্দির এখনও রয়েছে। তবে টেরাকোটার নকশার কাজ করা ওইসব মন্দির সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায়। একই অবস্থা হয়ে পড়েছিল কালী মন্দিরে। ভেঙে পড়েছিল মন্দিরের চালা। যেখানে রয়েছে পঞ্চমুন্ডী আসন।

মন্দির সংস্কার

মন্দির সংস্কার

তাই চলতি বছরে পুজোর আগেই শুরু হয়েছে মন্দিরের সংস্কারের কাজ। ভেঙে মন্দিরে চালা ছাড়িয়ে নতুন করে চূড়া তৈরি করা হয়। চলছে নানান নকশা তৈরির কাজ। রায় পরিবারের বর্তমান বংশধর লালু রায় জানান, 'মন্দিরের অতীতের কারুকার্য, নকশা সংস্কার করা হচ্ছে। প্রবেশদ্বারে টেরাকোটার মা দূর্গার নানান অবতারের নকশা থাকবে। চুড়ায় থাকবে পিতলের ঘট। প্রায় তিন ফুটের মতো মাটি চাপা পড়ছে মার্বেল পাথরের উঠোন। সেটা খুঁড়ে বের করা হবে। প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখা হবে।"

দিওয়ালিতে অর্থনীতির দিয়া জালানোর আবেদন, 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর টনিক দিলেন মোদী

English summary
Kanksa Kalipuja amid coronavirus pandamic
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X