লাদাখ সংঘাতের আবহে চিনের মুখের ওপর জবাব দিতে দিল্লির বড় স্ট্র্যাটেজি! নজরে সাগরসীমা
চিনের দাপট সাগর জলে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর লাদাখ সংগাতর আবহে চিনের সেই তেজ ঠান্ডা করতে এবার ভারতের পাশে ফিলিপিন্স। নয়া দিল্লি-ম্যানিয়া নতুন সামরিক সংঘবদ্ধতার হাত ধরে এবার নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে এশিয়ার বুকে।

সামরিক শক্তিতে জোরদার নজর
ফিলিপিন্স ও ভারতের সামরিক শক্তি ক্রমাগত পোক্ত করতে এবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফিলিপিন্সের বিদেশমন্ত্রকের সচিব টিওডোর লকসিন। আর সেই বৈঠকেই দুই দেশের সামরিক বাহিনীকে একযোগে সাগরজলে শক্তি বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গ, একদিকে দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের আস্ফালন অন্যদিকে, ফিলিপিন্সের দিকে ভূখণ্ড দখলে লালফৌজের গতি তীব্র হওয়ার ঘটনা ম্যানিলা মানতে পারছে না। অন্যদিকে লাদাখ আবহে ভারতও চিনকে রক্তচক্ষু দেখাতে উদ্যত। এমন পরিস্থিতিতে এই বৈঠক দিল্লিকে স্ট্র্যাটেজিক শক্তি যোগান দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রহ্মোস ও ভারত-ফিলিপিন্স
প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস মিসাইলের ব্য়াটারি কেনার আগ্রহ ফিলিপিন্স ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই দেখিয়েছিল। তবে কোভিড পরিস্থিতির জেরে চিনের শত্রু এই দেশ তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। তবে লাদাখ আবহে দুই দেশের সেনার একজোটে এশিয়ার বুকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উঠে আসে।

লাদাখ সংঘাতের আবহে কেন অ্যাডভান্টেজ ভারত, কূটনৈতিক তত্ত্ব
প্রসলঙ্গ, ভূখণ্ড নিয়ে সংঘাত বেজিংয়ের সঙ্গে তার একাধিক প্রতিবেশী দেশের রয়েছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স তারমধ্যে অন্যতম। এদিকে, দিল্লির 'অ্যাক্ট ইস্ট' নীতীর হাত ধরে ফিলিপিন্সের সঙ্গে সমঝোতা ঠিক তখনই হল , যখন লাদাখ আবহে সাগরজলে চিনের দাদাগিরি এশিয়ার বুকে বন্ধ করার সময় এসেছে! ফলে নতুন করে এই বৈঠক দিল্লি-ম্যানিলা সম্পর্কের গাঁথনি মজবুত করার পাশাপাশি, বেজিংয়ের কাছে বড় হুঁশিয়ারি দেবে।

চিনকে মুখের ওপর জবাব ইতিমধ্যেই কোন প্রজেক্টে দিয়েছে ভারত
চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের মাধ্যমে একাধিক দেশের ভূখণ্ডের দিকে চিনের বিস্তারবাদী নেশা ক্রমশ জোরালো হয়েছে। এদিকে, তার জবাব দিতে ভারতের সঙ্গে মায়ানমার একযোগে সহমত পোষণ করে মায়ানমার , থাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক হাইওয়ে তৈরিতে এগিয়েছে। যা চিনকে এই বিস্তারবাদী প্রজেক্ট ঘিরে মুখের ওপর জবাব দেওয়ার সমান। এমন এক পরিস্থিতিতে ফিলিপিন্সের সেনার সঙ্গে ভারতের সেনার সহযোগিতা এশিয়ার বুকে নতুন সমীকরণ আনবে বলে অনেকের আশা।
দিওয়ালিতে অর্থনীতির দিয়া জালানোর আবেদন, 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর টনিক দিলেন মোদী