৩ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে! দিলীপ ঘোষের আইনি নোটিশ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে

কাকলির টুইট নিয়ে অভিযোগ

অমিত শাহের রাজ্য সফর শেষ হওয়ার পর দিন বিতর্কের শুরু। ৭ নভেম্বর একটি টুইট করেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাকি বলেছেন, নাগরিকত্ব নিয় মতুয়ারা যদি বেশি কথা বলে, তাহলে মতুয়াদের ভোট তারা চান না। দিলীপ ঘোষকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, মতুয়ারা নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপিকে ব্ল্যাকমেল করেছে। তাই মতুয়াদের ভোটে দরকার নেই তাদের।

দিলীপ ঘোষের অস্বীকার

ঘটনার দিন বিকেলেই সাংবাদিক সম্মেলন করে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের টুইটের বিরোধিতা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি দাবি করেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের টুইটের মন্তব্য তাঁর নয়। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে তৃণমূল সাংসদ কীভাবে এই টুইট করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কাকলি সাইবার ক্রাইম করেছেন

ওইদিন দিলীপ ঘোষ আরও অভিযোগ করেন, তাঁ নামে ভুয়ো টুইট করে সাইবার ক্রাইম করেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বারাসতের তৃণমূল সাংসদের টুইটার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে, দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেন, তাহলে কি আইপ্যাকের লোকজন এটা করেছেন?

আইনজীবীকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, একজন সাংসদ সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করেছেন তৃণমূল সাংসদ। কটাক্ষা করে তাঁর মন্তব্য বাংলার রাজনীতির এতটা অধঃপতন হওয়া উচিত নয়। তিনি সেদিনই জানিয়েছিলেন, আইনজীবীকে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে নোটিশ

এদিকে টুইট নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টুইটটি মুছে দেওয়া হয়। যদিও তাতে থেমে যাননি দিলীপ ঘোষ। সোমবার তাঁর আইনজীবীর তরফ থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বারাসতের তৃণমূল সাংসদকে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৩ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

অভিষেকের নোটিশ পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ

২০১৭ সালের শুরুর দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনি নোটিশ পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই দিলীপ ঘোষকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। না হলে মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন অ্যালকেমিস্টের কর্নধার কেডি সিং-এর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন অভিষেক। যা বলার আদালতেই বলব, পাল্টা বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ।