পিকের 'সিদ্ধান্ত'কে চ্যালেঞ্জ! মিহির, শীলভদ্রের পর এবার বিস্ফোরক সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই
কোচবিহারের মিহির গোস্বামী, ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্তদের পর এবার তৃণমূলে (trinamool congress) বিদ্রোহী সিঙ্গুরের (singir) মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য(rabindranath bhattacharya)। তাঁর মনোনীতকে ব্লক সভাপতি না করার জন্য দলবদল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। সমস্ত কিছু থেকে তিনি বঞ্চিত, অবহেলিত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
শুভেন্দুকে নিয়ে 'দুই মত' তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদের! ২০২১-এর আগে বাড়ছে জল্পনা

মনোনীতকে ব্লক সভাপতি না করার অভিযোগ
নিজের মনোনীতকে জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার অভিযোগ সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যদি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এর পরিবর্তন না করে, তাহলে দল পরিবর্তন করতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর যে লড়াকু কর্মীরা খেটে দলের পরিস্থিতি ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের সরিয়ে পিকের টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন কমিটিতে দুর্নীতিগ্রস্তদের বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

অন্যায় করেও দলে
প্রবীণ এই বিধায়কের অভিযোগ অন্যায় করেও দলের পরিচালক হতে পারলেও, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাদের কার্যত দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। এইরকম ব্যবহারের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন। দল আগে তাঁর প্রতি সম্মান দেখালেও, শেষ মুহুর্তে দল তাঁকে সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত করে, অবহেলা করে, নিগৃহীত করে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এটা তিনি মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

বের বাধা, অপমানের সম্ভাবনা
এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, বিধায়ক হিসেবে তাঁকে টিকিট দেওয়া হলেও, অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। প্রচণ্ড বাধা, অপমানের সঙ্গে যাতে তিনি হেরে যান, তার জন্য চক্রান্ত করা হবে।

সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলে
তৃণমূলের হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলাজুড়ে অসন্তোষের আগুন বেড়ে চলেছে। তার মধ্যেই দলত্যাগের হুঁশিয়ারি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রবীণ বিধায়কের। লোকসভা ভোটে ব্যাপক ভাবে সিঙ্গুরে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তারপরেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বলছেন, কমিটির মাধ্যমে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে ফেলল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এক দলীয় কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, শেষে কফিন বইবার লোক থাকবে তো?

সম্মানহানির অভিযোগ করেছিলেন মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত
এর আগে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে সম্মানহানির অভিযোগ করেছিলেন মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত। তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক মিহির গোস্বামী পিকের সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কন্ট্রাক্টর সংস্থাকে দিয়ে চালাতে গেলে সেই সংগঠনের ক্ষতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। বিধায়কের মতামত ছাড়াই জেলা কমিটি তৈরির অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে শীলভদ্র দত্ত বলেছিলেন, বাইরে থেকে রাজনীতি করে আসা লোক, এখানে যেসব প্রশ্ন করছেন তাতে তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, ২০-২২ বছরে যে একদিনের জন্য রাজনীতি করেনি, সে তাঁকে জ্ঞান দেবে, সেটাই তিনি মানতে পারছেন না।
