পরাজয়ের পর এবার টুইটারেও ক্ষমতা কমছে ট্রাম্পের, নিয়ম লঙ্ঘনে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হতে পারে অ্যাকাউন্ট
জল্পনা চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই এবার তাতে সিলমোহর দিতে দেখা গেল স্বয়ং টুইটার কর্তৃপক্ষকেই। জানুয়ারিতে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে বাইডেনের দায়ভার গ্রহণের পরেই টুইটারে ক্ষমতা কমবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণ নাগরিকদের তুলনায় টুইটারে বেশি কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রনেতারা। এমনকী নিয়ম লঙ্ঘন করলেও তাদের কিছু বিশেষ ছাড় থাকে। একাধিক তাবড় তাবড় রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে এতদিন এই সুবিধা পেতেন ট্রাম্প। এবার তাঁর সেই ডানাও ছাঁটা হবে টুইটারের তরফে।

সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকেই টুইটারের নিয়ম ভাঙলে আর সাধারণ নাগরিকের মতো তোপের মুখে পড়তে পারেন ট্রাম্প। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে সোশ্যাল মিডিয়া ভুয়ো খবর ছড়ানোর নিরিখে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদেরও পিছনে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই সমস্ত ক্ষেত্রে ট্রাম্পে সতর্ক করা হলেও তাঁর পদের কথা মাথায় রেখেই এতদিন বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রেসিডেন্ট পদ খোয়ানের পর এবার সেই ক্ষমতাও হারাতে চলেছেন ট্রাম্প।
এদিকে টুইটারের বর্তমান নীতির কারণে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের কমপক্ষে ১২টি 'বিতর্কিত' টুইটে সতর্কবার্তার লেবেল জুড়ে দেওয়া হলেও, মুছে দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে টুইটারের বক্তব্য এরপরেও ট্রাম্প এই কাজ জারি রাখলে প্রয়োজনে তাঁর অ্যাকাউন্ট মুছেও (পড়ুন ডিলিট) দেওয়া হতে পারে। এদিকে মার্কিন নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গত বৃহঃষ্পতিবারই সিভিল রাইটস আন্ডার ল এর আইনজীবীদের কমিটি টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসির কাছে একটি চিঠি লেখেন। সেখানেও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টে সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল বলে খবর। তা নিয়েও রীতিমতো উত্তাল হয় মার্কিন রাজ্য-রাজনীতি।

জয়ের পরেই প্রতিশ্রুতি পূরণ বাইডেনের, করোনা টাস্ক ফোর্সের শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক মূর্তি