স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি লালফৌজ! ভারত-চিন সামরিক বৈঠকে একাধিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা
জুনের সেনা সংঘর্ষের পর থেকে কার্যত বারুদের স্তূপের উপর রয়েছে লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকা। সংঘাত এড়াতে এর আগে চিনের সঙ্গে একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক হলেও তার নিট ফল যে শূন্য তা এখনও অবধি লাদাখের উত্তপ্ত পরিস্থিতির উপর চোখ রাখলেই বোঝা যায়। এমতাবস্থায় চিনের সঙ্গে অষ্টম দফার সামরিক বৈঠক আগের থেকে অনেকটাই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র।

একাধিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৬ নভেম্বর চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে বসে ভারত ও চিনের সেনা আধিকারিকেরা। আন্তর্জাতিক স্তরে চাপের মুখে পড়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বর্তমানে দুই পক্ষের আগ্রহই আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে বলেই কূটনৈতিক মহলের ধারণা। এদিকে অষ্টম দফার এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে বলেও জানাচ্ছে ভারত সরকার।

স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়েছে লালফৌজের শীর্ষকর্তারা
সূত্রের, এই বৈঠকেই লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায় আগের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়ে লালফৌজের শীর্ষকর্তারা। এমনকী দুই দেশই জানিয়েছে সীমান্তে আর কোনও রকম সংঘর্ষে জড়াবে না দুই দেশের সেনা। যদিও এই বৈঠকের পরেও অন্য একাধিক আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরে। এনেকই বলেই বৈঠের নিট ফল আসলেই শূন্য। কারণ এর আগেও একাধিকবার সৌজন্যতার খাতিরে চিন এই ধরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে আগের থেকে অনেক বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে লালফৌজকে।

বৈঠক থেকেই ফের বৈঠকের সিদ্ধান্ত
যদিও অষ্টম দফার বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে দুই দেশের সেনাই জানিয়েছে সামগ্রিক ভাবে আগের থেকে অনেকটাই ফলপ্রসূ হয়েছে এই বৈঠক। ভারতের তরফে অষ্টম দফার এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন। এছড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তব। তবে এই বৈঠকের পরেও আর একটি সামরিক স্তরের বৈঠক হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।

একাধিক এলাকায় আগের মতোই আগ্রাসন জারি রেখেছে লালফৌজ
এদিকে গত অক্টোবরে চুশুল-মলডো সীমান্তে বর্ডার মিটিংয়েও এই ধরণের সিদ্ধান্ত হলেও আখেড়ে কোনও লাভই হয়নি ভারতের। উল্টোদিকে দেপসাং প্লেন, দৌলত বেগ ওলডি, প্যাংগং লেকের একাধিক ফিঙ্গার পয়েন্টে আগের মতোই নিজেদের আগ্রাসন বজায় রেখেছে চিনা সেনা। যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এমনকী ফিঙ্গার ৪-র কাছে আবার নতুন করে বিভিন্ন পরিকাঠামোও নির্মান করতে দেখা যাচ্ছে লালফৌজকে।
শুভেন্দুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব কেন মেটাচ্ছেন না পিকে-অভিষেকরা! প্রশ্নে মমতার ভূমিকা