চিরাগের 'চিঙ্গারি'-তে পুড়ে খাক হতে পারে জেডিউ-বিজেপি-র লঙ্কা', বলছে ভোট সমীক্ষায় রিপোর্ট
বিহার ভোটে বিজেপি ও জেডিইউ-র ভোট ব্যাঙ্কে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে এলজেপি। ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া এক্সিট পোল তাই দাবি করেছে। নীতিশদের ভোট ব্যাঙ্কে বড় আঘাত হানতে পারে এলজিপি। এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বিহারে ভোট উত্তাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ এলজেপি প্রথম থেকেই নীতীশদের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় বিরোধীদের অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে। এমনই দাবি করেছে সমীক্ষা রিপোর্ট।

এলজেপি ফ্যাক্টর
বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই এলজেপি এবং চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। রাম বিলাস পাসোয়ান বেঁচে থাকতেই জেডিইউ-বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন চিরাগ। তারপরেই সম্পর্কে তিক্ততা চরমে ওঠে। প্রকাশ্যে নীতীশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেন চিরাগ। রাম বিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে নীতীশ দুর্ব্যবহার করতেন বলেও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। চিরাগের এই প্রকাশ্যে নীতীশের উন্নয়নের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনেকটা ঘরের শত্রু হয়ে বিভীষণের কাজ করেছে। নীতীশের ভোট ভাঙােত চিরাগ অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন বলে মনে করছে সমীক্ষা।

৬ শতাংশ ভোট এনজেপি
ইন্ডিয়া টুকের ভোট সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে এলজেপির ৬ শতাংশ ভোট শেয়ারিং অনেকটাই সুবিধা করতে হতে পারত জেডিইউ শিবিরকে। কারণ জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা ও মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি সম্মিলিত ভাবে সেই ৬ শতাংশ ভোট দিতে পারবে নীতীশদের। এনজেপি পাশে শাকলে জোট আরও শক্তি পেত বলে মনে করছে সমীক্ষা রিপোর্ট।

ভোট ভাগাভািগতে প্রভাব
চিরাগের এনজেপি ভোট ভাগাভাগিতে বড় প্রভাব তৈরি করবে বিহারে। করণ কয়েকদিন আগেই এনজেপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে তারা কেন্দ্রেও বিজেপির সঙ্গে সরাসরি কোনও জোটে নেই। এতে নীতীশদের চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভোট ভাঙবে চিরাগ
এতোদিন এলজেপি জোটে থেকে ভোটে লড়েছে। কিন্তু এবারের বিধানসভা ভোট জেডিইউ-বিজেপি জোট থেকে এলজেপির বেরিয়ে আসাকে সহজ হবে নীতীশদের পক্ষে। বিরোধীদের অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছেন চিরাগ। দলিত ভোটের অনেকটাই এলজেপি ভাঙিয়ে নেবে বসে মনে করছে সমীক্ষা রিপোর্ট। ১০ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
শুভেন্দুর আন্দোলনেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা! কোথায় ভাইপো, অধীরের প্রশংসা নিয়ে জল্পনা