প্রতিদিনই নতুন জায়গায় পোস্টার! শুভেন্দুর ব্যানারে হলুদ, গেরুয়া রং-এ চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল
প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার ব্যানার। কোথাও তা মালিকানাহীন, আবার কোথাও সৌজন্য হিসেবে অনুগামীদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তবে এদিন যে ব্যানার নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে, সেটি দেওয়া হয়েছে মালদহ শহরের ফোয়ারা মোড়ে।

শুভেন্দু তৃণমূলেই আছেন
এদিন হুগলিতে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই আছেন। ফলে তাঁকে নিয়ে অহেতুক জল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, শুভেন্দু তৃণমূলের অবিচ্ছেদ্য। তিনি আরও বলেন, দলের নেত্রী থেকে নেতা-কর্মী সবাই শুভেন্দুকে ভালবাসে।

জায়গায় জায়গায় পোস্টার, ব্যানার
এদিন নতুন করে পোস্টার পড়ে চাকদহ, দুর্গাপুর, মালদহ শহরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এর আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার পড়েছিল।

মালদহের পোস্টার নিয়ে জল্পনা
এদিন সকালে মালদহের ইংরেজবাজারের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার চোখে পড়ে। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সেখানে হলুদ ও গেরুয়া রং ব্যবহার করা হয়েছে। পোস্টারের নিচে সৌজন্য হিসেবে সমাজসেবী হিসেবে কাজল গোস্বামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক কারণে নয়, শুভেন্দু অধিকারীকে সম্মন জানাতেই এই পোস্টার।

শাসকদলকে হেয় করতেই চক্রান্ত বিজেপির
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসক দল। প্রসঙ্গত এই পোস্টারে নীল সাদা রঙের জায়গায় হলুদ ও গেরুয়া রং ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের আদর্শ, বাংলার গর্ব জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে তৃণমূলের অভিযোগ, চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি। কেননা শুভেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। যদিও বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ব্যানারে ছবি মমতার
এদিকে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি রাজনৈতিক রেষারেষির অবসান হল? প্রসঙ্গত শুধু প্রশাসনিক বৈঠকের অনুপস্থিত থাকা নয়, দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না শুভেন্দু অধিকারীকে। সব জায়গাতেই অরাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যানারে অংশ নিচ্ছেন তিনি।

পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সারা রাজ্যে পোস্টার
প্রথমের দিকে আমরা দাদার অনুগামীদের পোস্টার পড়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে। পরে তা জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গায়। এরপর তা বীরভূম হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তৃণমূলের তরফে শুরু থেকেই এই পোস্টার দেওয়ার পিছনে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছিল। যদিও গেরুয়া শিবির তা অস্বীকার করেছে। অধিকারী গড় কাঁথি পড়া পোস্টারে কোথাও লেখা দরকারে পাই, তাই বাংলায় চাই। কাঁথি শহরে দেওয়া ওপর পোস্টারের নিচে লেখা যুবসমাজের অনুপ্রেরণা শুভেন্দু অধিকারী। ১০ নভেম্বরে নন্দীগ্রামের শহিদ দিবসের আগে বার্তাবাহী হোর্ডিং, পোস্টারে জল্পনা বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে।
শুভেন্দুর প্রধান বাধা প্রশান্ত কিশোর! একুশের বিধানসভার আগে প্রমাদ গুণছে তৃণমূল