শুভেন্দুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব কেন মেটাচ্ছেন না পিকে-অভিষেকরা! প্রশ্নে মমতার ভূমিকা
২০২১-এর মহাযুদ্ধের আগে তৃণমূলের মস্ত বড় সমস্যার নাম শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিদিনই তিনি নিত্যনতুন জল্পনার সৃষ্টি করছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সমস্যা মেটানোর কোনও লক্ষণ নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা প্রশান্ত কিশোরদের। প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা অন্য জেলার নেতাদের মনোমালিন্য মেটাতে ছুটছেন। কিন্তু সবথেকে সমস্যার সমাধান হবে কোন অঙ্কে, তার কোনও দিশা নেই!

মমতা বা পিকে- কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই
তৃণমূলে রদবদলের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর গোঁসা হয়েছে। তিনি দল ও সরকারকে এড়িয়ে চলছিলেন। কোনও মিটিং-মিছিলে যাচ্ছেন না। তাঁর অনুগামীরা সমান্তরাল জনসংযোগ চালাচ্ছেন। শুভেন্দুও দলহীন প্রচারে নিজের আলাদা ক্ষেত্র তৈরিতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতি চলছে মাস তিনেক। কিন্তু মমতা বা পিকে- কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।

শুভেন্দুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে কেন তৎপর নন?
তৃণমূল নাজেহার জেলায় জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলে। একুশের আগে প্রতিকূল এই অবস্থা থেকে মুক্ত নয় কলকাতার প্রতিবেশী জেলা হাওড়াও। সেখানে অরূপ বনাম রাজীব বনাম লক্ষ্মীরতন শুক্লার দ্বন্দ্ব মেটাতে ছুটছেন প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কেন শুভেন্দুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রশান্ত কিশোর-অভিষেকরা তৎপর নন? প্রশ্ন উঠছে।

পিকেকে সংগঠনে কাজে না পসন্দ ছিল শুভেন্দুর
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসলে শুভেন্দুর সমস্যা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার সেখানে নতুন এসে জোটা প্রশান্ত কিশোরও রয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরকে সংগঠনে কাজে লাগানো একেবারেই না পসন্দ ছিল শুভেন্দুর। তা সত্ত্বেও প্রশান্ত কিশোরকে সংগঠনের কাজে এন্ট্রি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলে বিভাজন রেখা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে
শুভেন্দু তবু অভিষেকের সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষ সংগঠক-জননেতা শুভেন্দু প্রশান্ত কিশোরের ছড়ি ঘোরানো মেনে নিতে পারেননি। তাই সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েছে। প্রশান্ত কিশোরের নাক গলানো মানতে না পেরে শুভেন্দু দূরত্ব তৈরি করেছেন তৃণমূলের থেকে। তাই তৃণমূলে বিভাজন রেখা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে ক্রমশ।

২০২১-এর নির্বাচনে বড় সংকট তৈরি হবে
এহেন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে সমস্যার নিরসন করতে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একমাত্র তিনিই পারেন ফের তৃণমূলের আড়াআড়ি এই বিভাজন রুখতে। এখনও সঙ্ঘবদ্ধতা না দেখাতে পারলে ২০২১-এর নির্বাচনে বড় সংকট তৈরি হবে। বিজেপি ফায়দা লুটবে বহু ক্ষেত্রে।

মমতা ছাড়া কারও গুরুত্ব নেই শুভেন্দুর কাছে
খোদ প্রশান্ত কিশোর বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে মনোমালিন্য শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে যাঁদের দা্য়িত্ব দিয়েছেন মমতা, তাঁরাই যদি সকংটের মূলে হন, তবে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে! তাই সংকট দীর্ঘমেয়াদী হচ্ছে। শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ছাড়া অন্য কারও কথার তেমন কোনও গুরুত্ব দেবেন না, তাই মমতা কী অবস্থান নেন, তার উপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ।
পার্টিতে দুজনেই থাকবেন, বাকি পার্টি উঠে যাবে, শুভেন্দুকে ইঙ্গিত করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ দিলীপের