ভোটে জিতেই মায়ের স্মৃতিচারণায় আবেগতাড়িত কমলা, বিজয় সম্ভাষণেই রাষ্ট্র নির্মাণে নতুন বার্তা
তাঁর হাত ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ময়দানে তৈরি হল নতুন ইতিহাস। এমতাবস্থায় বাইডেনের হাত ধরে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা হিসাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসতে চলেছেন ইন্দো-আমেরিকান কমলা হ্যারিস। এবার তার আগে কমলার প্রারম্ভিক ভাষণে একাধিকবার উঠে এল তার ছেলেবেলার কথা। বিহ্বল হয়ে পড়লেন মায়ের স্মৃতিচারণায়।

মঞ্চে উঠেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন কমলা
শনিবার পেনসিলভেনিয়ায় ডেমোক্র্যাট শিবিরের পর ব্যবধানে জয়লাভের পরই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায় সামগ্রিক চিত্র। এদিকে ভোট প্রচারেও এর আগে একাধিকবার ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করতে দেখা যায় আমেরিকার নতুন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে। এবার ভোটে জেতার পরেও তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে ফিরে ফিরে এল তার অতীত জীবনের কথা। এমনকী ভাষণ চলাকালীন মায়ের কথা উঠতেই আবেগতাড়িতও হয়ে পড়তে দেখা যায় কমলাকে।

স্মৃতিচারণায় কমলার ভারত প্রেম
এদিকে নির্বাচনী প্রচারেও ভারতে কাটানো নিজের ছেলেবেলার কথা টেনে, মায়ের কথা টেনে একাধিকবার স্মৃতির পাতায় ফিরে যেতে দেখা যায় এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫৫ বছরের এই মার্কিন রাজনীতিবিদকে। একইসাথে চেন্নাইয়ে কাটানো সময়, তার ইডলি প্রেম ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতি পরম শ্রদ্ধার কথাও বারবার উঠে আসে তাঁর কথায়।

প্রারম্ভিক ভাষণে কমলার গলায় আবেগের সুর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কমলার বাবা ডোনাল্ড আমেরিকায় এসেছিলেন জামাইকা থেকে। মা শ্যামলা আমেরিকার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের তামিলনাডু থেকে। পরবর্তীতে বিয়ের পর আমেরিকাতেই থাকতে শুরু করেন তারা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিনের প্রারম্ভিক ভাষণে কমলা বলেন, "১৯ বছর বয়সে যখন তিনি ভারত থেকে এখানে এসেছিলেন তখনএই মুহুর্তটি হয়তো স্বপ্নেও কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু আমেরিকার ধ্যান-ধারণার প্রতি তাঁর গভীর আস্থা ছিল। তিন জানতে পরিশ্রম করলে এরকম এই মূহূর্তও জীবনে আসা সম্ভব। আজকের এই বিশেষ দিনে আমার তাকে খুব মনে পড়ছে।"

সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা কমলার
শুধু তাই নয় জয়ের পরেই দেশের সমস্ত জনগণ, ভোট কর্মী, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কর্মী, তার পরিবারের সদস্যদেরও তার বিজয়ী-সম্ভাষণে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে দেখা যায় কমলাকে। এমনকী মঞ্চ থেকেই মার্কিন রাষ্ট্রব্যবস্থারও জয়গান শোনা যায় তার গলায়। মঞ্চে উঠে তীব্র উচ্ছ্বাসের শুরুতেই তিনি বলেন ওঠেন, " আমেরিকার মাটিতে বসে যে সমস্ত ছোট ছোট মেয়েরা আজকেরএই বিজয়ী অনুষ্ঠান দেখছে তারা জানে এই দেশ কী ভাবে সকলকে গ্রহণ করে নেয়, এই দেশ কী ভাবে রোজ নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়।"
দীপাবলির আগেই রঙ্গোলিতে সাজল থুলাসেন্দ্রাপুরম, কমলার জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা গ্রামবাসীরা