হল না এবারও! বিরাট ও আইপিএল যেন বিপরীত মেরু! কী বলছে পরিসংখ্যান
এবারও হল না। আরও একবার আশা জাগিয়েও শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। আইপিএল ২০২০-এর এলিমিনিটর থেকেই এলিমিনেট হয়ে গেল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। ক্রিকেট প্রেমীরা মনে করেন, বিরাট ও আইপিএল যেন দুই বিপরীত মেরু। জাতীয় দলকে এত সাফল্য এনে দেওয়া অধিনায়ক কীভাবে বারবার আইপিএলে ব্যর্থ হন, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

আরও একবার ট্রফিহীন আরসিবি
আইপিএল ২০২০-এর এলিমিনেটরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তুলতে সক্ষম হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়েই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাাবাদ। সেই সঙ্গে আরও একবার ট্রফি ছাড়াই ফিরতে হল বিরাট কোহলি শিবিরকে।

পঞ্চম বারেও ব্যর্থ
এবার নিয়ে মোট পাঁচ বার আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ২০১৬ সালে শেষবার টুর্নামেন্টের নক আউটে পৌঁছেছিলেন বিরাট কোহলিরা। সেবার ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারতে হয়েছিল আরসিবি-কে। এবারও একই দলের কাছে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হল কোহলিদের। তবে এবার অভিযানে ছেদ পড়ল এলিমিনেটরে।

আরসিবি-র প্লে-অফ বৃত্তান্ত
২০১৬ সালের পর আবার আইপিএলের প্লে-অফ খেলতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এবারেরটা নিয়ে মোট পাঁচ (২০০৯, ২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০২০) টুর্নামেন্টের নক আউট স্তরে পোঁছেছিল বিরাট কোহলির দল। এবারেরটা বাদ দিলে চার বারের মধ্যে তিন বার আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে রানার্স হয়েই শান্ত থাকতে হয়েছিল বিরাট কোহলি শিবিরকে।

আরও এক বছরের অপেক্ষা
গত দুই বছরের ব্যর্থতা কাটিয়ে চলতি আইপিএলের প্লে-অফে পৌঁছে ভক্তদের মনে আশা জাগিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়াটা বিরাট শিবিরের কাছে যে বড় ধাক্কা, তা বলা যায়। যদিও এই দুঃসময়ে প্রিয় দলের পাশের দাঁড়িয়েছেন আরসিবি ফ্যানরা। আরও এক বছর অপেক্ষা করতে তাঁরা রাজি।