লাদাখ সংঘাতের মাঝে গোয়া উপকূলের দিকে মার্কিন রণতরী! চিনকে চোখ রাঙিয়ে তুঙ্গে প্রস্তুতি
কোয়াডভূক্ত দেশগুলিকে নিয়ে ভারতের জলসীমায় শুরু হয়েছে মালাবার নৌ মহড়া। যে জলভাগকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চিন সাগরে দাপট দেখিয়েছে চিন, সেই জলভাগেই এবার অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপানকে সঙ্গে নিয়ে তাবড় নৌ মহড়ায় নেমেছে ভারত। যে মহড়ার পরবর্তী অধ্যা ১৭ থেকে ২০ তারিখ সম্পন্ন হবে।

বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে নিমিৎজ
মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান সম্বলিত ভারতের নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজ বিক্রমাদিত্য এবারের মালাবার নৌ মহড়ার নজর কাড়তে চলেছে। এদিকে, এই যুদ্ধজাহাদের সঙ্গে মার্কিন রণতরী নিমিৎস একজোট হয়ে এবার সাগর জলের সীমা কাঁপাবে। যার সঙ্গে থাকবে এফ ১৮ ফাইটার বিমান।

কীভাবে চলবে এই রণ মহড়া?
প্রসঙ্গত, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেভাবে রুদ্ধশ্বাস পরিবেশ তৈরি হয়, সেরকমই এককৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে মহড়া হবে। কোয়াডভূক্ত বাকি দেশের সেনাও এতে অংশ নেবে। সাগর জলে শক্তিতে শান দিয়ে নিতেই এমন উদ্যোগ বলে খবর।

চিনের অদূরের সাগর জল ও যুদ্ধজাহাজ
চিনের খুব কাছে না হলেও, চিনের দূরেও নয় আরব সাগর পারস্য উপসাগরের জলসীমা। গোয়া উপকূলের কাছাকাছি এই জলসীমাতে ৭০ টি বিদেশী যুদ্ধ জাহাদের নজরদারিতে এই মহড়ায় যোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আমেরিকা, জাপান। এদিকে, লাদাখ পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে এই জলসীমায় প্রচুর পরিমাণ নিরাপত্তা ধরে রাখা হয়েছে ভারতীয় সনার তরফে।

মালাক্কা প্রণালী থেকে আডেন উপসাগরে শক্তি জোরালো..
আগামী বছরই পরমাণু শক্তিধর ব্যালাস্টিক মিসাইল সাবমেরিনকে সঙ্গে নিয়ে আইএএস আরঘাট ও আইএএস বিক্রান্তকে নতুন ভাবে সাজাতে চাইছে ভারতীয় সেনা। যার হাত ধরে মালাক্কা প্রণালী থেকে আডেন উপসাগর পর্যন্ত শক্তির বিস্তার চাইছে ভারত। কারণ দক্ষিণ চিন সাগরজলে বেজিংয়ের দাপট ভারতের লাদাখ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সুবিধাজনক নয়।