'সংস্পর্শে' মোদী, মমতা! করোনায় আক্রান্ত রাজ্যের গৌতম দেব, ভর্তি মাটিগাড়ার হাসপাতালে
করোনায় (coronavirus) আক্রান্ত রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব (goutam deb)। তাঁকে শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন থেকে বাদ পড়লেন বিধায়ক! ২০২১-এর আগে জল্পনা তুঙ্গে

করোনার একাধিক উপসর্গ রয়েছে গৌতম দেবের
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহুর্তে গৌতম দেবের গুরুতর অসুস্থতা নেই। তবে করোনার একাধিক উপসর্গ রয়েছেন তাঁর। শুক্রবার সকালে শিলিগুড়িতে ফেরার পর অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পর্যটন মন্ত্রীকে ভর্তি করানো হয় মাটিগাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলেই সূত্রের খবর। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের করোনা আক্রান্তের কথা জানিয়েছেন গৌতম দেব।

মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই এসেছিলেন নবান্নে
মঙ্গলবার বিহারে ভোট প্রচারে যাওয়ার মাঝে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই তিনি কলকাতা রওনা হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মন্ত্রী নবান্নতেই হাজির ছিলেন।

রাজ্যের একের পর মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
এর আগে রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুজিত বসুকে দিয়ে শুরু। তারপর করোনায় আক্রান্ত হন স্বপন দেবনাথ, শুভেন্দু অধিকারী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো মন্ত্রী, তৃণমূল নেতারা। এখনও পর্যন্ত মন্ত্রীদের সবাই করোনাকে জয় করেছেন। তবে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হেশ কয়েকজনের। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ এবং এগরার সমরেশ দাসের। অন্যদিকে করোনাকে জয় করে ফিরেছেন, পানিহাটির নির্মল ঘোষ, হাওড়ার জটু লাহিড়ী, নদিয়ার রুকবানুর রহমান, কোচবিহারের উদয়ন গুহ, হুগলির জাঙ্গিপাড়ার স্নেহাশিস চক্রবর্তীরা।

মাটিগাড়ার হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য
গত জুলাইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল শিলিগুড় পুরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। তাঁকেও মাটিগাড়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তিনি সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফেরেন।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি
শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, ৩,৯৭, ৪৬৬ জন। এঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন ৩,৫৪, ৭৩২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭১৭৭ জনের। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৯. ২৫ %। শুক্রবার দার্জিলিং-এ আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৮ জন। অন্যদিকে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৮৪৬ এবং ৮১৬ জন। ৬ নভেম্বর পরীক্ষা হয়েছে ৪৫, ৩৫২টি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭, ৭৮, ৯৭৫। শুক্রবার রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫। গত ১৫ দিনে রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা দিন চার পাঁচের জন্য ৪ হাজারের ওপরে থাকলেও, তারপর থেকে তা ৪ হাজারের নিচেই ঘোরা ফেরা করছে।