শহর থেকে গ্রাম, দুর্বার গতিতে ছড়াচ্ছে শুভেন্দুর পোস্টার! এবার 'বাংলায় চাই' ব্যানারে জল্পনা
অনুব্রত গড় বীরভূম কিংবা, শিড়িগুড়ি এখন অতীত। দুর্বার গতিতে রাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে শুভেন্দু অধিকারীকে (subhendu adhikari) নিয়ে পোস্টার। নতুন করে পোস্টার ব্যানার পড়েছে কৃষ্ণনগর (krishnagar) শহরে। অন্যদিকে নিজের খাসতালুক কাঁথি এবং নন্দীগ্রামে 'বাংলায় চাই' পোস্টার পড়েছে।
সারা দেশে করোনায় সংক্রমণ পেরলো সাড়ে ৮৪ লক্ষ! আক্রান্তের নিরিখে প্রথমে দিল্লি, চতুর্থস্থানে বাংলা

কৃষ্ণনগরে পোস্টার
প্রথমে আমরা দাদার অনুগামীদের পোস্টার পড়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক শহরে। পরে তা জঙ্গলমহলে ছড়ায়। এরপর তা অনুব্রত গড় বীরভূমের সিউড়িতে ছড়ায়। যা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, এবার তিনি নিজেই বিষয়টি দেখবেন। পোস্টার ছড়ায় শিলিগুড়িতে। তৃণমূলের তরফে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল। এবার সেই পোস্টার পড়ল দক্ষিণবঙ্গের বর্ধিষ্ণুশহর কৃষ্ণনগরে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তার পাশে ফ্লেক্সে শুভেন্দু অধিকারীরে সমাজসেবী বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে। একটা সময়ে নদিয়া জেলার একটা অংশের দায়িত্ব তৃণমূল নেত্রী দিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে। তা ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নদিয়ার সেরকম কোনও সম্পর্ক নেই।

বাংলায় চাই
শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথমে পোস্টার পড়ে। আর অধিকারী গড় কাঁথি পড়া পোস্টারে একাধিক বয়ান। কোথাও লেখা দরকারে পাই, তাই বাংলায় চাই। ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে সেখানকার পথে ঘাটে হোর্ডিং-এ লেখা তোমার ভাবনায় বাংলা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কাঁথি শহরে পড়েছে ব্যানার, পোস্টার। ১০ নভেম্বরে শহিদ দিবসের আগে বার্তাবাহী হোর্ডিং পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে।

যুব সমাজের অনুপ্রেরণা শুভেন্দু অধিকারী
আমরা দাদার অনুগামী, এই নামে প্রথমে পোস্টার পড়েছিল। এখন আর তাতে সীমাবদ্ধ নেই। কাঁথি শহরে দেওয়া পোস্টারের নিচে লেখা যুবসমাজের অনুপ্রেরণা শুভেন্দু অধিকারী। এইসব পোস্টারে কোথাও শুভেন্দু অধিকারীকে সমাজসেবী বলা হয়েছে, কোথাও তাঁকে বলা হয়েছে জননেতা কিংবা সেবক

তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দিকে
যেভাবে পোস্টার ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে, তাতে তা তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বীরভূম হোক কিংবা শিলিগুড়ি কিংবা কৃষ্ণনগর, যেখানেই পোস্টার পড়ছে, তৃণমূলের একাংশের দাবি অনুযায়ী, তা করছে জেলা রাজনীতিতে ক্ষমতাচ্যুতদের কেউ কেউ। কোনও কোনও জায়গায় আবার তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির
যদিও বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের তোলা অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। গেরুয়া শিবির বলছে, পোস্টার মারার ঘটনা, তৃণমূলের অভ্যন্তরে বেড়ে চলা গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।

সাধারণ মানুষ যেন তাঁর কথা শোনেন
তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা, পোস্টার, ব্যানার। ফলে সাধারণ মানুষও কিছু বিভ্রান্ত। এই বিভ্রান্তি কিছুটা কাটানোর চেষ্টা করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনী থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ যেন কোনও রটনায় কান না দেন। তাঁরা যেন তাঁর (শুভেন্দু) মুখ থেকেই আসল কথা জেনে শোনেন। অনেকেই ভাবছেন, ১০ নভেম্বরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে এত তাড়াতাড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, তাও বলছেন অনেকে।