সারা জীবনের জন্য 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' নিয়ে মোদী সরকারের বড় ঘোষণা!
দেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে 'গেম চেঞ্জার' হয়ে উঠতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নতুন আইন। আইটি ও বিপিও গুলির ক্ষেত্রে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম নিয়ে একাধিক সুবন্দোবস্তের বার্তা দিয়েছে মোদী সরকারের নয়া ঘোষণা।

স্থায়ীভাবে বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ
মোদী সরকার তার নতুন গাইডলাইনে জানিয়েছে এবার স্থায়ীভাবে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করতে পারবেন আইটি ওবিপিএ কর্মীরা। এর হাত ধরে ভারতের যেকোনও কোণে বসে একজন আইটি কর্মী সংস্থাকে পরিষেবা দিতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সুযোগ প্রতিটি সংস্থার ব্যবসায়িক দিককে লাভবান করবে।

এই অর্থবর্ষে ভারতে তথ্য প্রযুক্তির কর্মী সংখ্যা ও সুবিধা
প্রসঙ্গত, আইটি ও বিপিএম সংস্থাগুলিতে ২০০৯ থেকে ২০১৯ অর্থবর্ষে ২ মিলিয়ন কর্মী যোগদান করেছেন। এর হাত ধরে গত দশটি অর্থবর্ষে ১০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডালারের লাভ এসেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রির হাতে। মহিলা কর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। আর মোদী সরকারের নতুন পদক্ষেপ এই পরিসংখ্যানকে আরও ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাবে বলে খবর।

তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ঢালাও সুবিধা
প্রসঙ্গত, তথ্য় প্রযুক্তি, বিপিও এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত আইটিইএস, কেপিএ সংস্থাগুলিকে এর আগে একাধিক 'অনুমতি' নিতে হত কর্মপক্রিয়ায় ক্ষেত্রে। ছিল সরকারি একাধিক বিধি। অনুমোদন এলেই সংস্থাগুলির কর্মপ্রক্রিয়া চলতে পারত। এখন সেই 'অনুমোদন' এর জায়গা টি অনেক সহজ করেছে মোদী সরকার। ফলে এই মুহূর্তে যে কোনও আইটি কর্মী দেশের যে কোনও এলাকায় বসে পরিষেবা দিতে পারবে সংস্থাকে। যা সংস্থার লাভের খাতায় যুক্ত হবে। অন্যদিকে,কর্মী সুবিধাজনক জায়গা থেকে নিজের মতো করে কাজ করতে পারবেন। যা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা মোদী সরকারের।

ভারতকে 'আইটি হাব ' বানানোর লক্ষ্য ও মোদী সরকার
' ভারতের আইটি সেক্টর আমাদের গর্ব। যা বিশ্ব জুড়ে সমাদ্রিত।' একথা বলেই মোদী ঘোষণা করেছেন আইটি নিয়ে তাঁর সরকারের একের পর এক 'ছাড়'এর কথা। ভারতে এই ইন্ডাস্ট্রি যাতে আরও কাজের জায়গায় সুবিধা পায় , তার চেষ্টা করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানান মোদী। তিনি বলেন, 'আজকের সিদ্ধান্ত নতুন প্রতিভাদের অনুপ্রেরণা দেবে।' তাঁদের উদ্ভাবনী শক্তিকেও উস্কানি দেবে বলে আশা মোদীর।
'যত মত তত পথ', রামকৃষ্ণ দেবের বাণী স্মরণ করিয়ে পাল্টা অমিত শাহকে বার্তা সৌগত রায়ের