মিলছে বরফ গলার ইঙ্গিত! দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সংঘাত এড়িয়ে আশার সুর নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানের গলায়
চিনের সঙ্গে লাদাখ সংঘর্ষের আবহেই নতুন করে চাপ বাড়িয়েছিল নেপাল। সীমান্ত ইস্যুতে গত কয়েক মাসে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন নতুন বিরোধ। এই চাপা উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসল প্রতিবেশী দুই দেশ। আর তারপরেই ভারত প্রসঙ্গে খানিক সুর নরম করতে দেখা গেল নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানকে।

আদৌও কী মিলল বরফ গলার ঈঙ্গিত ?
এদিকন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সামরিক ও প্রশাসনিক স্তরের এই বৈঠকের রেশ ধরেই দু-দেশের সম্পর্কের যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেই বরফ খানিকটা হলেও গলছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেপি শর্মা ওলি আবার নেপালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও বটে।

কী মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল ?
এই বৈঠকের পরেই ভারত সম্পর্কে খানিক উষ্মা প্রকাশ করেন নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই নেপাল ও ভারতের মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। যা এত ছোট ছোট কারণে নষ্ট হতে পারে না। আর তার এই মন্তব্যের পরেই ভারত-নেপালের বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যে ফাটল তা খানিকটা হলেও কমবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

নেপালের তরফে বিশেষ সম্মাননা ভারতীয় সেনাপ্রধানকে
এদিদেক বর্তমানে তিন দিনের নেপাল সফরে রয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভান। ইতিমধ্যেই তাকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাম্মানিক জেনারেল পদে ভূষিত করেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ১৯৫০ সাল থেকেই এই প্রথা মেনে চলা হচ্ছে বলেও খবর। বৃষ্পতিবার এই সাম্মানিক অনুষ্ঠানের পরেই শুক্রবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন নারাভানে।

টুইটবার্তায় আশার কথা শোনালেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা
এদিদেক ওই বৈঠক শেষেই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা রাজন ভট্টরাই টুইটবার্তায় জানান, " বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আশাবাদী যে ভারতের সঙ্গে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। ভারতের সঙ্গে নেপালের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তারও যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন প্রধানমন্ত্রী। তা চিরকাল অটুট থাকবে। "

কয়েক মাস আগেই ৩টি ভারতীয় ভূ-খণ্ডকে নিজের বলে দাবি করে বিতর্কের সৃষ্টি করে নেপাল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকমাস আগেই লিপুলেখ ও কালাপানি-সহ তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করতে দেখা যায় নেপাল। এমনকী নতুন একটি ম্যাপও প্রকাশ করা হয় নেপালের তরফে। এমনকী এর জন্য দেশের সংবিধানে সংশোধন করে কাঠমাণ্ডু। আর নেপালের এই গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে চিনের উষ্কানি ছিল বলেই ধারণা ভারতীয় কূনীতিকদের। এমতাবস্থায় প্রাথমিক ভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ার বার্তা শোনা গেলেও বাস্তবিক ভাবে তার প্রতিফলন কবে দেখা যায় এখন সেটাই দেখার।
মুকুল থেকে দিলীপ, রাহুল থেকে শোভন- সবাইকে কোন মন্ত্রে এক সূত্রে বাঁধলেন শাহ