বাড়া ভাতে ছাই দিতে পারে তৃতীয় ফ্রন্ট! শেষ দফার নির্বাচনে বহুমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা বিহারে
শেষ হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন। এবার শনিবারই বিহার বিধানসভার মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে ৭৮ টি আসনে শুরু হতে চলেছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। যা নিয়ে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এদিকে শনিবারই ১৫টি জেলা জুড়ে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১২০৭ জন নির্বাচনী পদপ্রার্থীর।

কী বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ?
এদিকে শেষ দুই দফায় যেখানে লড়াইটা হয় মূলত জেডিইউ-বিজেপির এনডিএ জোটের সঙ্গে বিরোধী মহাজোটের কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে। বেশ কিছু আসনে কড়া টক্কর দিতে দেখা যায় চিরাগ পাসোয়ানের এলজিপিকেও। তবে তৃতীয় পর্বের নির্বাচনে লড়াইটা বহুমুখী হতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বিরোধী মহাজোট ও এনডিএ জোটের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পারে নয়া তৃতীয় ফ্রন্ট
ওয়াকিবহাল মহলের মতে তৃতীয় দফার ভোটে বড় ভূমিকা নিতে চলছে সংখ্যালঘু ও দলিত ভোটাররা। আর সেই ক্ষেত্রে বিরোধী মহাজোট ও এনডিএ জোটের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পারে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম এবং মায়াবতীর বিএসপি। কারণ ইতিমধ্যেই মুসলিম ও দলিত ভোটের কথা মাথায় রেখে গ্র্যান্ড সেকুলার ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট নামে বিহারে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করে লড়ইয়েও নেমেছে এই দুই দল।

জোর টক্কর দিতে পারে আরএলএসপি, জন অধিকার পার্টিও
এদিকে এই তৃতীয় ফ্রন্টে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ও মায়াবতীর সঙ্গে রয়েছে উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি, এবং প্রাক্তন সাংসদ রাজীব রঞ্জনের জন অধিকার পার্টিও। কাল যে আসনগুলিতে ভোট হচ্ছে সেখানের ১৫ জেলার মধ্যেও রীতিমতো ভালো প্রভাব রয়েছে এই দলেরও। অন্যদিকে দলিত ও মুসলিম ভোটে একাধিকপত্য বজায় রাখতে পারে কংগ্রেস ও আরজেডিও। এমতাবস্থায় এই বহুমুখী লড়াইয়ের ময়দানে দাঁড়ায়ে এনডিএ জোট প্রার্থীরা এখন কতটা সুবিধা করতে পারেন সেটাই দেখার।

জোটের সমীকরণে রদবদলের ফলে উল্টে যেতে পারে অনেক হিসেব নিকেশই
এদিকে ৭৮টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনেই সব থেকে জোরালো টক্কর হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বনমানক্ষী, কসবা, সিকতা, রাকসৌল, গাইঘাট, হরলখী, পরিহর, চিড়াইয়া, জালে ও বেনিপট্টি আসনেও শাসক ও বিরোধী জোটে জোরদার প্রতিযোগীতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারের জোটে রদবদলের ফলে অনেক সমীকরণই ওলটপালট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , ২০১৫ সালের বিধানসভাব নির্বাচনে এই ১০ টি আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের খাতায় গিয়েছিল ৬টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস-আরজেডি-জেডিইউ-র দখলে গিয়েছিল ৪টি আসন।

নোটবন্দি নয় করোনাকালেই জব্দ কালো টাকার কারবারিরা, বলছে সমীক্ষা