মমতা সরকারের প্রশাসনিক কাজই টার্গেট, ২৩ দফা কর্মসূচিতে বাংলা জয়ের ভোকাল টনিক অমিত শাহের
মমতা টার্গেট নয়, মমতা সরকারের প্রশাসনিক কাজকর্মই হবে একুশের ভোটে বিজেপি মূল টার্গেট। ইজেডসিসিতে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে একুশের ভোটের দিক নির্দেশ করলেন বিজেপি চাণক্য অমিত শাহ। তিনি বলেছেন। যেভাবেই হোক মমতা সরকারের কাজকর্মকে টার্গেট করে এগোতে হবে বিজেপি কর্মীদের। মানুষ মমতার রাজনৈতির সংস্কতির বদল চায়। আর বিজেপিই সেটা করতে পারবে সেটা মানুষ জানে। তাই আগামী ৫ মাস কঠিন হতে চলেছে বিজেপি কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন তিনি। ঘর, বাড়ি ফুলে দলের হয়ে কাজ করার কথা বলেছেন অমিত। নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের কথা শোনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মমতার প্রশাসনিক কাজই টার্গেট
বিজেপি সর্বভারতীয় দল। তাই ব্যক্তি আক্রমণ নয় মমতা সরকারের প্রশাসনিক কাজকে টার্গেট করেই বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে ঘুঁটি সাজাতে হবে। ইজেডসিসিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই দিয়েছেন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। মমতার সন্ত্রাসকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে অভয়বার্তা দিয়েছেন তিিন। একই সঙ্গে আস্বস্ত করেছেন ভোটে কোনও সন্ত্রাস তিনি হতে দেবেন না।

২০০ বেশি আসন নিশ্চিত
গতকালই বঙ্গ বিজেপিকে একুশের টার্গেট বলে দিেয়ছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন ২০০-র বেশি আসন পেতে হবে বাংলায়। শুক্রবার আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন ২০০ আসন নিশ্চিত রয়েছে বাংলা। আরও বেশি পাবে বিজেপি। লোকসভা ভোটে ২১টি চেয়েছিল বিজেপি হাতে এসেছিল ১৮টি। কাজেই এই নিয়ে তাঁর কোনও দ্বিধা নেই। সাংসদদের আরও বেশি করে নিজের এলাকায় নজর দিতে বলেছেন অমিত শাহ।

৫ মাস সবচেয়ে কঠিন
আগামী ৫ মাস বাংলার বিজেপি কর্মীদের পক্ষে সবচেয়ে কঠিন হতে চলেছে। এই ৫ মাস বাড়ি ঘর ভুলে দলের কাজে ধাঁপিয়ে পড়তে হবে। ২৩ দফা কর্মসূচি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। নেতৃত্বের নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সাংগঠনিক বৈঠকে বাংলা জয়ের গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছেন চাণক্য। এবার কেবল বঙ্গের চন্দ্রগুপ্তদের লড়াইয়ের ময়দানে নামার অপেক্ষা।মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের কথা শুনতে হবে। কঠোর পরিশ্রমই জয়ের চাবিকাঠি দলীয় কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়েছেব অমিত শাহ।
শুভেন্দুর 'হোম টার্ফ' মেদিনীপুরই সভার জন্য প্রথম পছন্দ ছিল শাহের! সিদ্ধান্ত বদল কেন