মমতার সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে! কত আসনে জয় বিজেপির, বাঁকুড়ায় কোন ভবিষ্যদ্বাণী অমিত শাহের
সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) প্রতি ক্ষোভ আর নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) প্রতি ভালবাসা। বুধবার বাংলায় পা দেওয়ার পর থেকে তিনি এই চিত্রই দেখেছেন। এদিন বাঁকুড়ায় (bankura) এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ( amit shah)। কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগও তিনি করেছেন।
দুই দিনে চার ডিগ্রি কমল তাপমাত্রা! বাংলা জুড়ে কনকনে ঠাণ্ডার পূর্বাভাস

বাঁকুড়ায় অমিত শাহ
এদিন কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বাঁকুড়ায় যান অমিত শাহ। তারপর বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রাজ্য সড়কে থাকা বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এই সময় তাঁকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। অমিত শাহ বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করে নামার সময় ভি চিহ্ন দেখান। মঞ্চে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
অমিত শাহ এদিন ফের একবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে আদিবাসীদের প্রকল্প রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাঁকুড়ায় তিনি এদিন ফের প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকরা যে ৬ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সেই অভিযোগও তোলেন। একইসঙ্গে শৌচালয়, বাড়ি তৈরির সাহায্য সাধারণ মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন।

মমতার প্রতি ক্ষোভ আর মোদীর প্রতি ভালোবাসা
অমিত শাহ এদিন জানান, বুধবার তিনি কলকাতায় নামার পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষোভ এবং সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসা লক্ষ্য করেছেন। সর্বত্রই মানুষের প্রতি উৎসাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মমতার সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজেছে
বাঁকুড়ায় বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে অমিত শাহের প্রতি উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। যা দেখে অমিত শাহ এদিন বলেন, মমতার সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যেকর দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজেপির জয় হবেই।

ফের সোনার বাংলা গড়ার ডাক
এর আগেও অমিত শাহ বাংলায় এসে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। এদিন তিনি সেই একই ডাক দেন। তিনি বলেন, দেশের সুরক্ষায়, আর্থিক সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শাসন জরুরি। বিজেপির শাসন রাজ্যকে দারিদ্র থেকে বের করে আনবে। এখানকার বেকার যুবকদের চাকরি হবে।