কমলার জয়ের রাস্তা প্রশস্ত হতেই খুশির জোয়ারে ভাসছে তামিলনাড়ুর এই ছোট্ট গ্রাম
জয় যেন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এদিকে মার্কিন রাজনীতি ফের ডেমোক্র্যাট জাগরণের মাঝেই খুশির জোয়ারে মাতছেন তামিলনাড়ুর তিরুভারুর জেলার থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দারা। কারণ এই গ্রামের সঙ্গেই নাড়ির টান রয়েছে ডেমোক্র্যাট শিবিরের উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের। কারণ একদা এই গ্রামেই থাকতেন কমলার পূর্বপুরুষেরা। কমলার জয়ের খবর কার্যত নিশ্চিত হতেই রাস্তাতে আলপনা এঁকে, প্ল্যাকার্ড ফেস্টুনের মাধ্যমেও বিজয়োল্লাসে মাতেন থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দারা।

এমনকী কমলার মা শ্যামলা গোপালন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এই গ্রামে থাকতেন বলে জানা যায়। এদিকে এর আগে একাধিক নির্বাচনী সভাতে ভারতের প্রসঙ্গ উঠলেই একাধিকবার আবেগতাড়িত হয়েও পড়তে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন রাজনীতিবিদকে। তার কথায় বারবার ফিরে ফিরে আসে চেন্নাইয়ে কাটানো তাঁর ছেলেবেলার কথা। তার বড় হয়ে ওঠার কথা। চেন্নাইয়ের রাস্তায় কিভাবে দাদুর সঙ্গে হেঁটে বেড়াতেন তিনি তারও স্মৃতিচারণা করেন কমলা হ্যারিস। বর্তমানে সেই ঘরের মেয়ের জয়ের আশাতেই গত দুদিন ধরে এলাকার শিব মন্দিরে আরাধনা করছেন থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দারা।
ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মার্কিন মুলুকে যখন ক্রমেই বিজয়োল্লাসে মেতে উঠছেন জো বাইডেন-কমলা হ্যারিসের সমর্থকেরা। তখন সাত সমুদ্র তেরো নদী পারে বসে নিজেদের ঘরের মেয়ের দয়ে খুশিতে ঢগমগ থুলাসেন্দ্রাপুরম। চেন্নাই থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে গেলেই এখন দেখা যাবে গোটা এলাকাই মুড়ে ফেলা হয়েছে কমলার বড় বড় হোর্ডিং আর ফ্লেক্সে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই গ্রামেরই বাসিন্দা আবীরামি বলেন, “ আমরা কাল থেকেই খুশির খবর শুনব বলে অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে ভালো খবর শুনতে পাচ্ছি। এখন শুধু পাকা খবর শোনার অপেক্ষা।”
বিহারের তৃতীয় দফার ভোট: ২০১৫ সালের নির্বাচনী ফলাফল ও কিছু রাজনৈতিক পরিসংখ্যান একনজরে