প্রথম পরীক্ষায় পাশ না ফেল, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-সিন্ধিয়া জুটির ভবিষ্যৎ কী
একদিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও অপরদিকে কমল নাথ। এই দুজনের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর এই ছবি দেন। আজ সেই ছবি নিয়েই রাহুল গান্ধিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। তবে এই উপহাসের মাঝেই বিজেপির নিজের কপাল পুড়তে পারে মধ্যপ্রদেশে।

মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন
চলতি বছরে মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে রাহুল বা কমলনাথের ক্রমেই দূরত্ব বাড়তে থাকায় বিজেপিতে যোগ দেন সিন্ধিয়া। তবে নতুন দলে যোগ দিয়েই পরীক্ষার সম্মুখীন জ্যোতিরাদিত্যে। তাঁর পরীক্ষাও বেশ শক্ত। পুরোনো দলের বিরুদ্ধে নতুন দলকে জিতিয়ে এনে মধ্যপ্রদেশের গদিতে শিবরাজ সিং চৌহানের স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত করা।

সিন্ধিয়া গড় ১৬টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে
চম্বল এলাকা সিন্ধিয়া গড় মানেই পরিচিত। সেই এলাকায় মোট ৩৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে যার মধ্যে ১৬টিতে উপনির্বাচন হয়েছে। কংগ্রেসের ছয়টি আসন ছিল চম্বব এলাকার মোরেনায়। গত ৩ নভেম্বর এই এলাকার পাঁচটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সিন্ধিয়ার প্রভাব রয়েছে মাত্র দুটি আসনে। ভিন্ডের দুটি আসন মেহগাঁও এবং গোহাদ নিয়ে তারা খুব বেশি আশাবাদী নয়।

সিন্ধিয়ার প্রভাব রয়েছে কোথায়?
সিন্ধিয়ার প্রভাব রয়েছে গোয়ালিয়র, গোয়ালিয়র পূর্ব এবং ডাব্রার তিনটি আসনে। কেবল দতিয়ার ভান্ডার আসনে সিন্ধিয়ার হালকা প্রভাব আছে। তবে বিজেপি নির্বাচনের পর অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা করেছে। এবং তাদের মতে আশাতীত ফল হবে না এই এলাকাতেও। যদিও গদি বেঁচে যাবে বলে আশা তাদের। উল্লেখ্য শিবরাজকে গদি বাঁচাতে মাত্র ৭টি আসন জিতলেই হবে। অপর দিকে কংগ্রেসকে পেতে হবে ফুল মার্কস।

সিন্ধিয়া নিজের ছাপ কতটা রাখতে পারবেন?
এদিকে সিন্ধিয়া গড়ে বিজেপির ভোট যদি সত্যি কমে তাহলে তার কারণ হবেন বিজেপির প্রবীণ নেতা নরোত্তম মিশ্র। তিনি দতিয়ার বিধায়ক। তাঁকে সিন্ধিয়ার প্রতিপক্ষ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। শিবপুরী কারাইরা এবং পোরির উপর আংশিক প্রভাব ফেলে। এখানে সিন্ধিয়ার প্রতিপক্ষ হলেন যশোধরা রাজে। যশোধরা রাজের শিবপুরীর উপরে অধিকার কায়েম রয়েছে। এতগুলি প্রভাবশালী নেতার গোষ্ঠীর মাঝে সিন্ধিয়া নিজের ছাপ কতটা রাখতে পারবেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

নিজের লোকসভা আসনের এলাকায় কতটা প্রভাব সিন্ধিয়ার?
এদিকে ২০১৯ সালে হারলেও তার আগে সিন্ধিয়া বরাবর গুনার থেকে নির্বাচিত হয়ে সাংসদ হয়েছেন। তবে সেই বামোরি আসনে সিন্ধিয়ার খুব একটা প্রভাব নেই। বরং দিগ্বিজয় সিংয়ের এখানে প্রভাব রয়েছে বেশি। অশোকনগরে দুটি আসন রয়েছে। তবে সাংসদ হওয়ার পরেও তিনি এখান থেকে কম ভোট পেয়েছিলেন।

বিজেপিতে সিন্ধিয়ার ভবিষ্যৎ
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহী প্রার্থীরা উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে ১৪ জন মন্ত্রী। বিজেপিতে সিন্ধিয়ার ভবিষ্যৎ তাঁর জয়ের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে। যদি তিনি জেতেন, সিন্ধিয়া নিজেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে 'চাপ সৃষ্টির রাজনীতি' করতে সক্ষম হবেন।