দীপাবলিতে দেশব্যাপী বন্ধ হতে পারে আতসবাজি, ১৮টি রাজ্যকে নোটিশ পরিবেশ আদালতের
করোনা সঙ্কটের জেরে সঙ্কটের জেরে ভাটা পড়েছিল শারদোৎসবেও। এবার দীপাবলিতেও সেই ধারা অব্যাহত। এদিকে দেশব্যাপী করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য চিন্তার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল বা এনজিটি।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের কাছেও চিঠি
সূত্রের খবর, দীপাবলি চলাকালীন পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে মামলার শুনানির পরিধি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনজিটি। এদিকে ইতিমধ্যেই আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রাখা যায় কিনা, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

১৮ টি রাজ্যকে নোটিশ
এবার এই তালিকায় যুক্ত হল কর্ণাটক সহ ১৮ টি রাজ্য এবং বেশ কিছু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বাজি পোড়ানো ছাড়াও গত কয়েকমাসে এই রাজ্যগুলিতে বায়ুমানের একটানা অবনতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের তরফে। তালিকায় রয়েছে কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, আসাম, বিহার, চণ্ডীগড়, ছত্তিসগড়, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি।। সম্প্রতি এ কথা দিয়েছেন এনজিটির প্রিন্সিপাল বেঞ্চ চেয়ারপারসন বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েল।

আতসবাজী বন্ধের পথে হাঁটছে রাজস্থান
এদিকে এনজিটির বার্তা পাঠানোর আগেই দীপাবলিতে আতসবাজি সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে রাজস্থানে। করোনা পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ধরণের শব্দবাজীর পাশাপাশি আতসবাজীর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এমতাবস্থায় রাজস্থানের পর বাকি রাজ্যগুলি এখন কী অবস্থান নেয় সেটাই দেখার।

ভয় ধরাচ্ছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের রিপোর্ট
এদিকে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের বা সিপিসিবি-র পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে ১৮ রাজ্যের ১২২টি শহরে বায়ুমান ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। এমনকী অগাষ্টের মাঝামাঝি সময়ে অবস্থার আরও অবনতি হয়। কর্নাটকের বেঙ্গালুরু, দাভানগেরে, কালবুর্গী এবং হুবলি-ধরওয়াদ শহরে বায়ুমান অনেকটাই নীচে নেমে যায়। এমতাবস্থায় দীপাবলিতে আতসবাজীর যথেচ্ছ ব্যবহার হলে গোটা পরিস্থিতিই যে অন্য মোড় নিতে পারে তা বলাই বাহুল্য।
ফের পাকিস্তানে মন্দির ভাঙল দুষ্কৃতীরা, স্থানীয় মুসলিমদের সাহায্যেই প্রাণে বাঁচল ৩০০ হিন্দু পরিবার