বারাক ওবামার দেখানো পথে হেঁটেই আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন জো বাইডেন
চূড়ান্ত ফলাফল না বেরোলেও চলতি বছরে আমেরিকার মসনদে যে জো বাইডেনই বসছেন তা কার্যত নিশ্চিত ভোট গণনার বর্তমান হিসেব নিকেশেই। এদিকে ক্ষমতাই এসেই আমেরিকার আর এক ডেমক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেখানো পথেই যে বাইডেন হাঁটতে চলেছেন তা ভোট পূর্ব প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট ও নির্বাচনী প্রচার থেকেই স্পষ্ট। কিন্তু ঠিক কোন কোন নীতিতে রিপাবলিকানদের থেকে ভিন্ন পথে হাঁটতে পারেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ?

বাইডেনের হাত ধরেই গোটা বিশ্বের আর্থ-সামাজিক আলকে পারে বড়সড় বদল
এদিকে এর আগে একাধিক নির্বাচনী প্রচার থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগতে দেখা যায় জো বাইডেন। করোনাকালীন আর্থিক মন্দা, বর্ণবৈষম্য, এমনকী একাধিক দেশের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক প্রসঙ্গেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগার করতে দেখা যায় বাইডেন। এমতাবস্থায় অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্র আমেরিকার মসনদে বাইডেন বসলে গোটা বিশ্বেরই আর্থ-সামাজিক মানচিত্রে একাধিক বড়সড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অভিবাসী নীতিতেও বদলে ডাক
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি বিশ্বের প্রায় সব মানুষের ওপরই কমবেশি প্রভাব ফেলে। এদিকে করোনা সঙ্কটে দেশজোড়া মন্দার কবলে পড়ে দেশে অভিবাসীদের আগমণ ঠেকাতে একাধিক ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকী এইচ১বি ভিসা বাতিলের পড়ে বেকাদায় পড়ে প্রবাসী ভারতীয়রাও। ক্ষমতায় এলে এই ক্ষেত্রেও একাধিক রদবদল ঘটাতে চান বাইডেন।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফের যোগ দিতে পারে আমেরিকা
অন্যদিকে ক্ষমতাই এলেই বাইডেন অবিলম্বে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবারও যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। বাড়তি খরচের দোহাই দিয়ে আগেই এই চুক্তি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় বাইডেন আমেরিকার দায়বদ্ধতার উপরই বেশি জোর দিতে চাইছেন। এমনকী কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও বাতিল করবেন জানিয়েছেন বাইডেন।

ইরানের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক উন্নতিতে জোর
অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচার থেকেই ইরানের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক উন্নতি কথাও শোনা যায় বাইডেনের মুখে। পূ্ববর্তী শর্ত মানলে তিনি ইরান সঙ্গে পুনরায় পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে চান বলেও জানান। অন্যদিকে মেক্সিকো থেকে আগত শরণার্থীদের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করবেন বলেও শোনা যায়। পাশাপাশি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে শরণার্থী কোটা বছরে এক লক্ষ ২৫ হাজারে উন্নীত করবেন বলেও জানান বাইডেন। ট্রাম্পের কড়াকড়িতে যা নেমে আসে ১৫ হাজারে।

ওবামার দেখানো ‘একসাথে চলার’ রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছেন বাইডেন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাত্র ৩০ বছর বয়সে আমেরিকার রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী পঞ্চম সেনেটর নির্বাচিত হন জো বাইডেন। এমনকী ডেলাওয়ার থেকে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসাবে মোট ৬ বার সেনেটর পদেও জয়ী হন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও সামলেছিলেন বাইডেন। এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত পূর্বসূরী ওবামার দেখানো ‘একসাথে চলার' রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছেন বাইডেন।
পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের! কার্তারপুর গুরুদোয়ারা ইস্যুতে ঝাঁঝালো জবাব দিল্লির