ইভিএম এখন মোদী ভোটিং মেশিন! বিহারের শেষ পর্যায়ের প্রচারে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ রাহুলের
নির্বাচনে হারলেই ইভিএম নিয়ে অভিযোগ। গত প্রায় সবকটি নির্বাচনী যুদ্ধে ইভিএমের (evm) ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস (congress)। বিহারের নির্বাচনে দুদফার নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অন্য কেউ এবিষয়ে প্রশ্ন না তুললেও প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)। বিহারে (bihar) তৃতীয় দফার নির্বাচন রয়েছে ৭ নভেম্বর। আর ভোট গণনা করা হবে ১০ নভেম্বর।
কোথায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক, ব্যাখ্যা করলেন কৈলাশ

ইভিএম হল এমভিএম
নির্বাচনী প্রচারে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এদিন গিয়েছিলেন বিহারের আরারিয়ায়। সেখানে তিনি বলেন ইভিএম হল এমভিএম। অর্থাৎ মোদী ভোটিং মেশিন। কংগ্রেস নেতা বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে আদর্শগত যুদ্ধে নেমেছেন।

তিনি ভয় পাচ্ছেন না, বলেছেন রাহুল
এমভিএম হোক কিংবা মোদীজির মিডিয়া, তিনি এসবে ভীত নন বলে জানিয়েছেন রাহুল। কারণ সত্যি হল সত্যি। ন্যায় বিচার হল ন্যায় বিচার। তারা তাঁদের (বিজেপি) চিন্তা ধারার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। তাঁরা এই চিন্তাধারাকে পরাস্ত করবেন, জানিয়েছেন রাহুল।

মোদীর বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর কথা বলার অভিযোগ
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তাঁকে নিয়ে অপ্রীতিকর কথা বলার অভিযোগ করেছেন রাহুল। তিনি আরও বলেন, তারা(বিজেপি) ঘৃণা ছড়াতে চায়। কিন্তু তিনি ভালবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান। ঘৃণা কখনও ঘৃণাকে হারাতে পারে না। ভালবাসা তা পারে। নরেন্দ্র মোদীকে না হারানো পর্যন্ত তিনি এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।

মাধেপুরার সভা থেকে নীতীশ কুমারকে আক্রমণ
এদিন মাধেপুরার সভা থেকে রাহুল গান্ধী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেননি নীতীশ। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী আর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার লকডাউনের সময় গরিব শ্রমিক কর্মচারীদের সাহায্য করেননি। বরং তাঁদের ওপরে লাঠি চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ে যদি কৃষক এবং শ্রমিকদের জন্য কোনও জায়গায় থাকত তাহলে তিনি মারা যেতেন।

ইলেকশন ভিক্ট্রি মেশিন
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস বলেছিল বিজেপির কাছে ইভিএম এখন ইলেকশন ভিক্ট্রি মেশিন। কংগ্রেসের তরফে ২০১৯-এ গণনার সময় ইভিএম গণনার আগে ভিভিপ্যাট গণনার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে কংগ্রেসের তরফে ইভিএম হ্যাক প্রতিহত করতে বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করেছিল তারা। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নির্বাচনের শেষে ২০১৪-র থেকেও অনেক বেশি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি।