কোথায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক, ব্যাখ্যা করলেন কৈলাশ
দলের নাম না করে তির্যক মন্তব্য। রাজনৈতিক মহলের অভিমত এইভাবেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। কোনও কোনও মহলে জল্পনা ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে বিজেপির কথা হয়েছে। তবে এই জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিলেন, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়(kailash vijayvargiya)।
২০২১-এর লক্ষ্যে বাংলা প্রচার পরিকল্পনা! তৃণমূলকে চাপে রাখতে কোন বিষয়ে গুরুত্ব, ঘোষণা কৈলাশের

ওঁকে বিজেপিতে পাঠিয়েই ছাড়বে তৃণমূল, বলেছিলেন দিলীপ
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তৃণমূল ওকে বিজেপিতে পাঠিয়েই ছাড়বেন। মেদিনীপুরে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, দলে ইতিমধ্যেই অনেককে নেওয়া হয়েছে। সবাইকে নেওয়ার জন্য বিজেপি দলের দরজা বড় করেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী ও ফিরহাদ হাকিমের বাক যুদ্ধ সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, বিষয়টি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। দিলীপ ঘোষ আরও বলেছিলেন, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী একটি দলের নেতা, মন্ত্রী। ওনাদের সমস্যা ওনাদের। বিজেপি তাদের পার্টি নিয়ে ব্যস্ত আছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

সরাসরি উত্তর দেননি মুকুল
শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেছিলেন, বিজেপি পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল থেকে তিনিও বিজেপিতে এসেছিলেন। গত তিনবছর তিনি বিজেপিতে রয়েছেন। সম্মানের সঙ্গে বিজেপিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। পাশাপাশি বিজেপি তাঁকে ব্যবহার করছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন মুকুল রায়। তিনি আরও বলেছিলেন, যাঁদের যোগ্যতা আছে, যাঁরা মানুষের উপকার করতে চায়, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে স্বাগত।

যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির আহ্বান
সৌমিত্র খাঁ শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দিন দুয়েক আগে। বিষ্ণুপুরের ছিন্নমস্তা মন্দির থেকে পুজো দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেছিলেন, মানুষের কাজ করতে চাইলে, পিসি ভাইপোর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ হয়নি
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা বাড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নানা মন্তব্য তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন তিনি নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গী কোনও সদর্থক উত্তর দেননি। তিনি বলেছেন, বিষয়টি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ হয়নি। তবে তিনি বলেন, রাজ্যের বহু সিনিয়র তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চান। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসার রাজনীতির কারণে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।