শুভেন্দু আবার জেলায় জেলায় জনসংযোগে! গুরুত্ব বৃদ্ধি নাকি অন্য কোনও আভাস
রাজ্য রাজনীতিতে এখন সমস্ত ফোকাস টেনে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর রাজনৈাতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনাই চরমে। অন্য সব এখন গৌন হয়ে গিয়েছে। অমিত শাহের বাংলা সফরের দিনেও আলোচনায় সেই শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের সফরের পরই তিনি বাঁকুড়ায় যাবেন। সেখানে গিয়ে শুভেন্দু কী বিবৃতি দেন, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

শুভেন্দু আবার সরকারি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন
সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে একটু মন কষাকষি চলছে শুভেন্দুর। প্রশান্ত কিশোর ভোট কৌশলীর দায়িত্বে আসার পর শুভেন্দুর গুরুত্ব ঈষৎ কমতেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রাখা শুরু হয়েছিল। এখন শুভেন্দুর কিছু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতির পারদ উথাল-পাথাল করতে শুরু করেছে। তবে শুভেন্দু আবার সরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়াও শুরু করেছেন।

অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরের পরই যাচ্ছেন শুভেন্দু
এরই মধ্যে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে অমিত শাহের বাংলা সফরে শুভেন্দু কোনও বিশেষ অবস্থান নিতে পারেন। তার সম্ভাবনা আপাত নেই। সম্প্রতি শুভেন্দু বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি তৃণমূলেই আছেন। সেই আঙ্গিকে অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরের পর তিনি বাঁকুড়ায় যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে তিনি কোন আঙ্গিকে সভা করেন, তা থেকেই জানা যাবে শুভেন্দুর গতিবিধি।

শুভেন্দু কোথায় কবে যাবেন, একনজরে
এদিকে শুধু বাঁকুড়া নয়, শুভেন্দু নভেম্বরের ৭ তারিখের পর থেকে বিভিন্ন জেলায় জনসংযোগে যাবেন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ৭ নভেম্বর পুরুলিয়া যাবেন, ৮ নভেম্বর যাবেন মুর্শিদাবাদ, ১০ নভেম্বর নিজের জেলায় নন্দীগ্রামে এবং ১৩ নভেম্বর বাঁকুড়া যাবেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি দলকে চাঙ্গা করবেন, নাকি নিজের জনংযোগকে চাঙ্গা করবেন, সেটাই ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

শুভেন্দু জানিয়েছেন, তৃণমূলেই আছি
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আশাবাদী, শুভেন্দু সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। সম্প্রতি নন্দীগ্রামে ও হলদিয়ার সুতাহাটায় সরকারি অনুষ্ঠানে এসেছেন শুভেন্দু। তারপর কলকাতায় নিজের দফতরে এসেছেন। সেখানে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, তৃণমূলেই আছি।

তৃণমূলের অশনি সংকেতে আপাতত নিবৃত্তি
এর ফলে আশ্বস্ত হয়েছে তৃণমূল। যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্বের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্যের মহানায়ক, তাতে ২০২১-এর আগে অশনি সংকেত দেখছিল দল, আপাতত তাতে নিবৃত্তি ঘটেছে। সম্প্রতি দলীয় সভা, মিটিং-মিছিল থেকে দূরে সরে থাকছিলেন। দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। আপাতত সেই দূরত্ব বৃদ্ধিতে লাগাম পরানো গিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুভেন্দুর জেলা সফরে নজর রাজনৈতিক মহলের
শুভেন্দু ২০১৯-এর ধাক্কা সামলে উপনির্বাচনে দুটি বড় জয় উপহার দিয়ে অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন। এহেন শুভেন্দু যদি বিরোধীদের শক্তি জোগান, তাতে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা থাকেই। কিন্তু ২ নভেম্বর কলকাতায় এসে শুভেন্দু যে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন, তাতেই স্বস্তি মিলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার জেলা সফরগুলিতে তিনি কী বিবৃতি দেন, সেটাই দেখার।