প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কতটা নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে সুইং স্টেট গুলি? কী বলছে নির্বাচনী ইতিহাস?
সময় যত গড়াচ্ছে ততই পাল্লা ভারী হচ্ছে বাইডেন শিবিরের। যদিও চূড়ান্ত ফলাফল বেরোতে শুক্রবার অবধি সময় গড়িয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে জয়ের খাতায় থাকা রাজ্যগুলিতে ২০১৬ সালে সালেও যে ফলাফল দেখা গিয়েছিল এবারেও তাঁর বিশেষ হেরফের হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আমেরিকার ভাগ্য নির্ধারণে অন্যতম বড় ভূমিকা নিতে চলেছে সুইং স্টেটগুলির নির্বাচনী ফলাফল।

শেষ মুহূর্তেও সুইং স্টেটগুলিতে কেন প্রচারে জোর দুপক্ষেরই ?
এদিকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ৫০ রাজ্যের মধ্যে থেকে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। ইতিমধ্যেই তার অনেকটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেন। তবে পিছিয়ে নেই ট্রাম্প। এদিকে নির্বাচনি ময়দানে এক বিন্দুও জমি না ছাড়তে শেষ দিন পর্যন্ত ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত চারটি সুইং স্টেটে প্রচার চালিয়ে গিয়েছ ট্রাম্প-বাইডেন দু-পক্ষই।

২০১৬ সালে চার অঙ্গরাজ্যে জয় ট্রাম্পের
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও স্পষ্ট ধারণা নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগান এই চার রাজ্যই আমেরিকার চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণে নির্নায়ক ভূমিকা রাখতে চলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্যা ২০১৬ সালেও এই চার অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। তবে এবারের নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে তাতে ট্রাম্পকে জোর টক্কর দিচ্ছেন জো বাইডেন।

নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিনই রায়ই সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে দুই শিবিরকেই
এমনকি ইলেকশন ডে-র আগে শেষ মহূর্তের প্রচারে এই চার রাজ্যে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে দেখা যায় বাইডেনকেও। তালিকায় রয়েছে অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডার মতো রাজ্যগুলি। এদিকে রাষ্ট্রপতির মসনদ দখলে নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিনই সর্বাধিক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এদিকে আমেরিকার রাজনৈক মানচিত্রে পালাবদলের দৃশ্য নতুন নয়।

অতীতেও আমেরিকার ভাগ্য নির্ধারণে নির্নায়ক ভূমিকা নিয়েছে ১২টি রাজ্য
নির্বাচনী পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৩৮ টি রাজ্য বরাবরই কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতিই আস্থা রেখেছে। একটা টানা জয় নিশ্চিত করেছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই শিবিরই। এদিকে প্রতি নির্বাচনেই নিজেদের পছন্দ বদলেচেন মূলত ১২টি রাজ্যই। অতীতেও দেখা যাচ্ছে প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেই নির্নায়ক ভূমিকা নিয়েছে এই সুইং স্টেটগুলিই। এমতাস্থায় ট্রাম্প নাকি বাইডেন কার ভাগ্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের শিকে ছেঁড়ে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও ৪৮ ঘন্টা।

কিছুটা কাবু হলেও গ্রীষ্মেও চলবে করোনার প্রকোপ! ফের ছড়াতে পারে কোন আবহাওয়ায়, জানাচ্ছেন গবেষকরা