সহজেই ঘায়েল হবে মারণ করোনা! অবশেষে বিজ্ঞানীদের হাতে এল ‘উচ্চ ক্ষমতাশালী' কোভিড অস্ত্র
বর্তমানে কিছুটা হলেও কমেছে কোভিড আতঙ্ক। বিশ্বের প্রত্যেকটি শক্তিধর দেশই নিজ নিজ উপায়ে কোভিড প্রতিষেধক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এরই মাঝে এল নতুন সুখবর। জীবদেহে ট্রায়ালের ক্ষেত্রে নতুন একটি 'অতিক্ষমতাশালী' প্রতিষেধক বহুল পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ফলত নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন গবেষকরা। এদিকে আবার ব্রাজিলে পুনরায় ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে অন অ্যান্ড জনশনের করোনা ভ্যাকসিনের।

নয়া 'অতিক্ষমতাশালী প্রতিষেধকটি কি?
এদিকে নয়া প্রতিষেধকের হাত ধরেই কোভিড গবেষণায় আসছে নতুন মোড়। বিজ্ঞানীরা এই নব প্রতিষেধককে বলছেন 'অতিক্ষমতাশালী' বা 'আল্ট্রাপোটেন্ট' ভ্যাকসিন । গবেষকরা জানিয়েছেন, ৬ ফোল্ডের ন্যূনতম ডোজেই ইঁদুরের দেহে প্রায় ১০ গুণ অধিক ভাইরাস নিষ্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডি তৈরি করছে এই ভ্যাকসিন । তাঁরা এও জানান যে, প্রয়োগের পর দেহে বি-কোষের অতিসক্রিয়তার অর্থ এই ভ্যাকসিন দীর্ঘস্থায়ী।

কিভাবে কাজ করছে এই প্রতিষেধক?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই প্রতিষেধক প্রয়োগের পরেই তা দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শুরু করে দিচ্ছে। এই অ্যান্টিবডিগুলিই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনগুলিকে নানাদিক থেকে আক্রমণ করছে। বর্তমানে ইউডাব্লিউ মেডিসিনের এই গবেষণা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে নানা মহলে। গবেষণার নেতৃত্বে থাকা নেইল কিং জানিয়েছেন, "আমাদের এই ন্যানো-পার্টিকল প্রযুক্তি ভাইরাসের বিকশিত রূপকেও দমন করতে সক্ষম হবে। এই ভ্যাকসিনের ক্ষমতা, স্থায়িত্ব ও প্রস্তুতির সুবিধা একে অন্য প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রাখবে।"

ব্রাজিলে শুরু জে এন্ড জে-র ট্রায়াল
বর্তমানে আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। করোনায় মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে পুনরায় কোভিড প্রতিষেধকের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে জনশন অ্যান্ড জনশন। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলাকালীন অংশ নেন প্রায় ৬০,০০০ মানুষ, যাঁদের মধ্যে একজন অজ্ঞাত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তার কারণেই ১২ই অক্টোবর ট্রায়াল বন্ধ হয় ব্রাজিলে। একই কারণে আমেরিকায় এই ট্রায়াল বন্ধ থাকলেও গত মাসেই তা চালু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর ।

মেক্সিকোয় প্রতিষেধক সরবরাহ চিনের
এদিকে আবার চিনের থেকে বড় সংখ্যায় ভ্যাকসিন কিনছে মেক্সিকো। চিনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিক্সের থেকে প্রথম ডোজের প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মেক্সিকোয়। মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো এবরারের কথায়, "৩০শে অক্টোবর দেশে শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। এই ট্রায়ালে প্রায় ১০,০০০-১৫,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ হবে।" সূত্রের খবর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তি অনুসারে 'কোভ্যাক্স' প্ল্যানের আওতায় ২০২১-এর মধ্যে সমস্ত দেশবাসীকে প্রতিষেধক দেবে মেক্সিকো সরকার।
বাইডেন বনাম ট্রাম্প, হোয়াইট হাউজের পরবর্তী বাসিন্দা কে? মার্কিন নির্বাচনে এগিয়ে কোন নেতা