প্রশান্ত কিশোর ভোট কৌশলী হতে পারেন, শুভেন্দু অধিকারী ভোট রাজনীতিতে ‘ডক্টরেট’
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্বে আসার পর থেকেই খটর-মটর শুরু হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। দলীয় নেতৃত্বের উপর এই অনাস্থা মানতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই শুভেন্দু নিজেকে ভোট রাজনীতির ডক্টরেট বলে ব্যাখ্যা করলেন। প্রশান্ত কিশোরকে কার্যথ কটাক্ষই করলেন তিনি।

পান থেকে চুন খসলেই শুভেন্দুকে নিয়ে গল্প তৈরি
বিগত তিন বছরাবধিকাল ধরে শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়া এবং বিজেপি-যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে। শুভেন্দু অঝিকারী বারবার তা খণ্ডন করলেও, জল্পনা থামেনি। পান থেকে চুন খসলেই শুভেন্দুকে গল্প তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি রাজ্যর পরিবরণমন্ত্রী সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিয়েছেন আবারও।

‘তৃণমূলেই আছি। কোনও বিরোধিতা করিনি’
শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় তিনি জানান, ‘তৃণমূলেই আছি। আমাকে কেউ আপনারা আমাদের নেত্রী বা পার্টির বিরুদ্ধে কোনও শব্দ প্রয়োগ করতে দেখেছেন বা শুনেছেন, শোনেনি। যা হচ্ছে, এগুলো এক শ্রেণির মিডিয়ার বাজার গরম করা খবর। আমার মুখ যা শুনবেন, সেটা ছাড়া অন্য কিছু সত্যি মনে করার কারণ নেই।'

খড়গপুর-কালিয়াগঞ্জে ভোটের রেজাল্টই দৃষ্টান্ত
তিনি নিজেকে ভোট রাজনীতির ডক্টরেট বলেও দাবি করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সম্প্রতি খড়গপুর-কালিয়াগঞ্জে ভোটের কী রেজাল্ট করেছিলাম, তা সবাই জানেন। কোথায় কীভাবে ভোট করতে হবে, তা আমার জানা আছে। এদিন নন্দীগ্রামের ভোট নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। জানান, নন্দীগ্রামে বিজেপি দাঁত ফোটাতেও পারবেন না।

রাজ্যের হাল হকিকৎ, বিজেপি বনাম তৃণমূল
তিনি বলেন, তবে এবার বিজেপির সঙ্গে তুল্যমূল্য লড়াই হবে বেশ কিছু আসনে। ২০-২৫টি আসনে বিজেপি কোনও লড়াইয়ে আসতে পারবে না। বা্কি আসনগুলিতে তারা লড়াই দেবে। এই ভোট-অঙ্ক কষে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন? তিনি কি বোঝাতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোরের ভোট কৌশলে কোনও লাভই হচ্ছে না তৃণমূলের!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রাইসিস ম্যানেজার শুভেন্দু
শুভেন্দু ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রাইসিস ম্যানেজার। যখনই দরকার পড়েছে শুভেন্দু মুশকিল আসান হয়ে আবির্ভুত হয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছেন। নিজের জেলা ছাড়াও একা চার-পাঁচটি জেলা সামলেছেন। মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় ঘাসফুল ফুটিয়েছেন।

শুভেন্দুর উপর ভরসা না করে প্রশান্ত কিশোরে আস্থা!
২০১৯-এ তৃণমূল ধাক্কা খেয়েছে ঠিকই, সেখানে শুভেন্দুর কোনও খামতি ছিল না। বরং লোকসভার পর উপনির্বাচনে এমন দুই কেন্দ্রে শুভেন্দু জয় এনে দিয়েছেন, যেখানে কোনওদিন জেতেনি তৃণমূল। দিলীপ ঘোষের খড়গপুর সদর ও উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল বিজেপির লিড উপেক্ষা করে জয় ছিনিয়ে এনেছে। তারপরও শুভেন্দুর উপর ভরসা না করে প্রশান্ত কিশোরেই আস্থা দেখিয়েছেন।

বেশি দায়িত্ব চেয়েছিলেন, কিন্তু তা আর পেলেন কই!
শুভেন্দু তাই নিজেই ব্যাখ্যা করলেন সে কথা। শুভেন্দু যে জননেতা হিসেবে তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই, তা সবাই-ই স্বীকার করেন। কিন্তু ভোট কৌশলী হিসেবেও তিনি যে কমতি যান না, তার নিদর্শন অদূর ভবিষ্যতে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই ২০২১-এ তিনি আরও বেশি দায়িত্ব চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর পেলেন কই!

হোয়াইট হাউজের চাবি থাকবে কার পকেটে? ফলাফল প্রকাশের আগেই জানালেন ভারতীয় জ্যোতিষী