মার্কিন নির্বাচন ২০২০ : ট্রাম্প জিতুক বা বাইডেন, চিনের হার অনিবার্য
মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের তরফে প্রার্থী হওয়া জো বাইডেন ভারতের জন্য ভালো নন। তিনি চিন ইস্যুতে নরম হতে পারেন। এমন দাবিতে বহুবার সরব হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাহলে কি জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলে সত্যি চিনের জয়? নাকি জো বাইডেনও চিন বিরোধিতায় ট্রাম্পের পথই অনুসরণ করবেন?
হোয়াইট হাউজের দৌড়ের নিয়মাবলী কী? একনজরে মার্কিন নির্বাচনের খুঁটিনাটি

মার্কিন ভোটারদের আস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বেজিং?
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে বিশৃঙ্খলা তৈরি ও মার্কিন ভোটারদের আস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বেজিং। এই বিষয়ে মার্কিন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছিল, মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেনকে জেতাতে নাকি চিন অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে ও অন্যান্য উপায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটারদের প্রভাবিত করছে।

বাইডেনের 'চিন প্রীতি'কে ট্রাম্পের আক্রমণ
ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে হাতিয়ার করেছেন বাইডেনের 'চিন প্রীতি'কে। এই আবহে শেষ লগ্নের নির্বাচনী সভা থেকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে চিনের প্রতি নরমপন্থা নিয়ে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, বেজিং চাইছে নির্বাচনে বাইডেন জিতুন। প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ঘুমন্ত বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনী আবহে কোথায় দাঁড়িয়ে বাইডেন?

বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলে কী হবে?
বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলে চিনের সঙ্গে কেমন হবে আমেরিকার সম্পর্ক? বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইডেন ওয়াশিংটনের হাওয়া বুঝে চিন বিরোধী দলে নাম লিখিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাইডেন মার্কিন বিদেশ নীতি ঠিক করার দায়িত্বে থেকেছেন বহুকাল। সেই সময় চিনের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দূরত্ব গুছিয়ে ফেলার উপরই জোর দিয়েছেন বারংবার। তবে সেই বাইডেনই এবার প্রকাশ্যে শি জিনপিংকে 'যোচ্চের' বলে সম্বোধন করতে শোনা গিয়েছে।

চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে মরিয়া আমেরিকা
চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে কতকটা মোদীর ভঙ্গিতেই 'বাই আমেরিকান' পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাইডেন। ৪০০ বিলিয়ন খরচের এই প্রকল্পের অধীনে মার্কিন মুলুকে তৈরি জিনিস কিনবে মার্কিন সরকার। এছাড়া বিশ্বজুড়ে চিন বিরোধী গণতন্ত্রগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে চলার পরিকল্পনার কথাও জানান বাইডেন। সেক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বে চিড় ধরবে না বলেই আশা করা যায়।

তথ্য চুরির ইস্যুতে চিনকে তোপ বাইডেনের
চিনা সংস্থার তথ্য চুরির ইস্যুতে এর আগে টিকটক, হুয়েইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, 'ঈশ্বরই জানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তথ্য চুরিকরে তারা কী করে। আমি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হই তাহলে আই এই বিষয়টির গোড়ায় যাব। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে এই বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করব।' এছাড়া হুয়েইয়েই সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও সমর্থন জানিয়েছিলেন বাইডেন।

হংকং-তিব্বতের পাশে বাইডেন
এছাড়া হংকংয়ে মানবাধিকার, তিব্বতের গণতন্ত্র অ্যাক্ট পুরোপুরি লাগু করা হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জো বাইডেন। উল্লেখ্য, এর আগে দলাই লামার সঙ্গে দেখা করে তিব্বতের গণতন্ত্র অ্যাক্টে সই করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই আইন লাগু করার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি ট্রাম্পের তরফে। এদিকে জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার নিয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন।
