করোনা ধাক্কায় থমকে পঠনপাঠন! পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদের বিকল্প শিক্ষার ভাবনা রাজ্য সরকারের
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে রাজ্য তথা দেশের প্রায় সমস্ত সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়। একাধিক বিধিবদ্ধ সতর্কতার সঙ্গে গত কয়েক মাস আগে থেকে একাধিক রাজ্যে পুনরায় স্কুল খোলার তোড়তোড় শুরু হলেও বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা ফের কবে স্কুলের মুখ দেখতে পাবেন সেই বিষয়ে সঠিক দিশা দেখাতে পারছেন না কেউই। এদিকে মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের পড়ুয়ারা ইন্টারনেট নির্ভর পড়াশোনা বা গৃহশিক্ষকের মাধ্যমে পড়াশোনা চালালেও পড়াশোনা প্রায় বন্ধের পথেই দরিদ্র কৃষক তথা পরিাযায়ী শ্রমিকদর ঘরের পড়ুয়াদের।

এমতাবস্থায় এই সমস্ত প্রান্তিক ঘরের পড়ুাদের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের শিশু অধিকার, সংরক্ষণ ও সুরক্ষা কমিশন বা ডাব্লুবিসিপিসিআর-র তরফে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল। সূত্রের খবর, পঠনপাঠন এগিয়ে নিয়ে যেতে বর্তমানে অঞ্চল ভিত্তিতে স্থানীয় এলাকায় আরও বেশি পরিমাণে অস্থায়ী স্কুল তৈরিতে জোর দিচ্ছে ডাব্লুবিসিপিসিআর। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে শিক্ষা ও শ্রম বিভাগের সাথে আলোচনাও চলছে বলে জানান ডাব্লুবিসিপিসিআর-র চেয়ারপার্সন অন্যন্যা চক্রবর্তী।
দ্রুতই এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও তৈরি করা হবে বলে জানান অনন্যা। সংশ্লিষ্ট কমিটিতে ডাব্লুবিসিপিসিআর-র বেশ কিছু সদস্য ছাড়াও ইউনিসেফের সদস্যরা থাকবেন বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে লকডাউনের শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় স্কুলের বিকল্প হিসেবে শুরু হয়েছিল 'লকডাউন স্কুল'। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তাতে সর্ব শিক্ষা মিশন প্রকল্পের তরফেও আর্থিক অনুদান আসছিল বলে জানা যায়। সরকারি সহায়তা থাকলেও মূলত স্থানীয় উদ্যোগেই রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে আজও চলছে এই স্কুলগুলি। ১৬,০০০ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী এই স্কুলে অংশ নিয়েছে। আগামীতে এই সমস্ত স্কুলের পঠনপাঠনেও কী ভাবে জোর দেওয়া যায় তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার।

মন্দার মেঘ যৌনপল্লীতেও! দেনার দায়ে জর্জরিত সোনাগাছির ৮৯ শতাংশ যৌনকর্মী