ত্রিপুরায় জোর কদমে চলছে প্রচার। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে ভোটে যদি বিজেপি জিতে যায়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। প্রথমেই উঠে আসছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেবের নাম। অন্য নামটি অবশ্যই সুদীপ রায় বর্মনের।

ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কে। এই প্রশ্নে আড়াআড়ি বিভক্ত ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি। আড়াআড়ি বিভক্ত বিপ্লব দেব এবং সুদীপ রায় বর্মনের শিবির। অন্তত এমনটাই মনে করছেন সেখানকার রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে দুই শিবিরের কথোপকথোনও উঠে আসছে মাঝে মধ্যে। সুদীপ রায় বর্মনের শিবির বলছে, বিধানসভার রীতিনীতি নিয়ে কিছুই জানেন না বিপ্লব দেব। পাল্টা বিপ্লব শিবির বলছে, সুদীপ রায় বর্মনের ওপর ভরসা করেন না ত্রিপুরার জনগণ। সেই জন্য কংগ্রেসে থাকাকালীন রাজ্যবাসী তাঁর হাতে দায়িত্বও দেননি।
সুদীপ রায় বর্মন ত্রিপুরার হেভিওয়েট। বাম বিরোধী রাজনীতিতে পরিচিত নাম। চারবারের কংগ্রেস বিধায়ক এবার আগরতলা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী। এর মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য তিনি তৃণমূলেও নাম লিখিয়েছিলেন। রাজ্যে বাম বিরোধী রাজনীতিতে যে কাউকে আটকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন সুদীপ রায় বর্মন। এমনটাই বলছেন সেখানকার রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে বিপ্লব দেব ত্রিপুরা বিজেপির পুরনো সংগঠক হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি সংঘের সক্রিয়া সদস্যও বটে। গত কয়েক বছরে আগরতলা এবং আশপাশের এলাকায় বিজেপি বেড়ে ওঠার পিছনে রয়েছেন এই বিপ্লব দেবই। ফলে এলাকার আরএসএস, সংঘ কিংবা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে বিপ্লবের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে।
ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ক্ষমতায় আসলে বিপ্লবের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন সুদীপ রায় বর্মন। ২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ছিলেন এই সুদীপ রায় বর্মনই। ত্রিপুরার প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সমীর রায় বর্মনের ছেলে সুদীপের দলবদলে কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অবশ্য যথেষ্ট বিনয়ী ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বিপ্লব দেব। মোদীজি, অমিতজি যা বলবেন, তাই তিনি মাথা পেতে নেমেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।