স্টাফ রিপোর্টার, কৃষ্ণনগর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষের সম্পর্কের অবনতির প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷

নদীয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির জনসভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন জয় বলেন, ‘‘কাজ থাকলে পাশে বোস৷ কাজ ফুরলেই ভআরতি ঘোষ? এটা এখন খুব চলছে পশ্চিমবঙ্গে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা ডেকে ছিলেন ভারতী ঘোষ৷ এবার মা-মেয়ের তাণ্ডব চলছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে৷’’

এদিন ভারতীর গোপন পেন-ড্রাইভ সম্পর্কে জয় বলেন, ‘‘এমনি টাকা খোঁজার জন্য ওঁরা দৌড়চ্ছে না৷ একটা পেনড্রাইভ খুঁজছে ওঁরা৷ সেই পেনড্রাইভে তৃণমূলের অনেক কুকীর্তি লোকানো আছে৷ সেইটা খোঁজবার জন্য আজকে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ আজকে মানলাম ভারতী ঘোষ অনেক টাকা করেছে, কোটি কোটি টাকা৷ আর একটা কথা আছে, অন্যায় যে করে এবং অন্যায় যে সহে, সবাই সমান দোষে দোষী হয়৷ আজকে যদি ভারতী ঘোষ দু’নম্বর টাকা কামিয়ে সোনা কামিয়ে যে রোজকার করেছে, মা আর পিসতুতো ভাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবই জানতো৷ তাহলে ওরা তখন বাধা দিল না কেন? আর ভারতী ঘোষের যদি এত টাকা হয় যারা ওকে লালন পালন করেছিল তাদের কত টাকা এবার ভেবে দেখুন তো৷’’

তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জয় বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা কথাই বলে, সিপিএমের যত দুর্নীতি, যত সন্ত্রাস আমরা অনুসন্ধান করব৷ আমরা তদন্ত করব৷ আজকে একটাও তদন্ত হয়েছে বন্ধু? আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না৷ জ্যোতি বাবুর এক অকাল কুষ্মাণ্ড ছেলে ছিল চন্দন বসু৷ পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক টাকা সে লুট করে নিয়ে চলে গিয়েছে৷ এখন সে কোথায় আছে জানি না৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছিল যে আমরা যেদিন ক্ষমতায় আসব চন্দন বসুকে আমরা কোমরে দড়ি পরাব৷ কী করে পরাবে বন্ধু? চোর কী ডাকাতের অনুসন্ধান করতে পারে? নাকি একটা ডাকাত চোরের সন্ধান করতে পারে?’’

- Advertisement -