কথিত রয়েছে, শিবের আরাধনা আন্তরিকভাবে করলে, পাওয়া যায় ইচ্ছামত 'বর'। যেকোনও রকমের প্রার্থনা বাস্তবায়িত করতে বা বাধা বিঘ্ন কাটাতে হলে শিবের আরাধনা ফলদায়ক বলে মত অনেক জ্যোতিষবিদের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক শিবরাত্রির দিন কী কী বিধি পালন করলে সাফল্য আসবে বা কেটে যাবে নানা বাধা , দেখে নেওয়া যাক।

গৃহস্থের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে
গৃহস্থের মানুষের স্বাস্থ্য উদ্ধার করতে শিবের উদ্দেশে কাঁচা চাল বা পালিশ না করা চাল অর্পণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষবিদরা। এতে সাফল্য় প্রাপ্তিও হয় বলে তাঁদের মত।
[আরও পড়ুন:কেন স্থাপিত হয় শিবের এই ১২ টি জ্যোর্তিলিঙ্গ মন্দির, পড়ুন সেই পৌরাণিক কাহিনি]

তিল অর্পণ
শিবের পূজাতে তিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিবরাত্রিতে শিবের উদ্দেশ তিল অর্পণ করলে গৃহে শান্তি আসে বলে মতো জ্যোতিষীদের ।

গম অর্পণ
পূজা বিধি সম্পর্কে অনেকেরই মত, যে শিবলিঙ্গে গম অর্পণ করলে , গৃহস্থে কখনওই খাবারের অভাব হয় না।

শিবলিঙ্গে জল অর্পণ
শিবরাত্রিতে লিঙ্গকে জল দান করলে, বাড়িতে জ্বর-জ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এই বিধি এদিন পালন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

মধু অর্পণ
বলা হয় শিব লিঙ্গে মধু অর্পণ করলে বাড়িতে কেউ যক্ষ্মায় আক্রান্ত থাকলে তাঁকে সেই রোগ থেকে উদ্ধার করা যায়।

আকন্দ ফুল
কোথাও কোনও দিক থেকে বাধি বিপত্তি বা সমস্যা তৈরি হলে , তা বিঘ্নিতে হয়ে যায় আকন্দ ফুল শিবকে অর্পণ করলে। এছাড়াও আকন্দ ফুল ছাড়া শিবের পূজা অসম্ভব বলে মত হিন্দুশাস্ত্রজ্ঞদের।

দূর্বা ঘাস
সাধারণত শিবের পুজাতে দূর্বাঘাস দেওয়ার কথা বলা হয়। এই ঘাস দিয়ে শিবের পূজা করলে গৃহস্থে শান্তি বিরাজ করে বলে দাবি অনেকের।

শিবরাত্রি ঘিরে কিছু তথ্য
বছরের প্রতি মাসেই আসে শিবরাত্রি। প্রতি কৃষ্ণ পক্ষের ১৪তম রাত্রি হল শিবরাত্রি। কিন্তু মাঘ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের ১৪তম রাতে মহাশিবরাত্রি পালন করা হয় কারণ এই রাতটা মহাদেবের সবথেকে পছন্দের।

শিবের বিয়ে
অনেকের মতে, শিবরাত্রির দিনেই পার্বতীকে বিয়ে করেছিলেন মহাদেব। এই রাতেই মিলন হয়েছিল শিব আর শক্তির।