প্যারিসে অস্বাভাবিক মৃত্যু বাঙালি বিজ্ঞানী স্নিগ্ধদীপ দে-র। মঙ্গলবার উত্তরপাড়ার বাড়িতে মৃত্যুর খবর আসে। কী ভাবে মৃত্যু ধোঁয়াশায় পরিবার। দেহ আনতে বিদেশ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে স্নিগ্ধদীপের বাবা শিশির দের।

৪ বছর প্যারিসে কর্মরত ছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী স্নিগ্ধদীপ দে। শনিবার বাড়ির সঙ্গে শেষবারের জন্য কথা হয়েছিল। তখন জানিয়েছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকলেও, সে ভাল আছে। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।

প্রথমে বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি মিশিয়ে কথা হওয়ায় ভাষাগত কারণে তা বুঝতে পারেননি স্নিগ্ধদীপের বাবা। পরে আমেরিকায় থাকা দুই বন্ধুর মাধ্যমে কথা হয়। স্নিগ্ধদীপের বাবা জানিয়েছেন, রাতে দরজা দিয়েই শুয়েছিল। কিন্তু সকালে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। সেখানকার পুলিশ চিকিৎসক সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দরজা ভেঙে স্নিগ্ধদীপের দেহ উদ্ধার করে। তাঁর দেহ কলকাতায় আনার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই স্নিগ্ধদীপের বন্ধুদের কথা হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকে। তারা দেহ আনার ব্যাপারে আশ্বত করেছেন। পাশাপাশি উত্তরপাড়া পুরসভাও দেহ আনতে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্নিগ্ধদীপের বাবা। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পরিবার। দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার ছাড়াও বিদেশ দফতরের মুখপত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন মৃত বিজ্ঞানীর বাবা শিশির দে।
বুধবার এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তরপাড়ায় স্নিগ্ধদীপ দে-র বাড়িতে যান উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান।
স্নাতকোত্তরে মৌলানা আজাদ কলেজের ছাত্র ছিল স্নিগ্ধদীপ দে। পরবর্তী সময়ে বেঙ্গালুরুর জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চে পিএইচডি করেন তিনি। এরপর পর্তুগাল হয়ে ফ্রান্স। গবেষকের কাজ করতেন তিনি।

বাড়িতে বাবা-মা-স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন একমাসের কন্যা।