রায়গঞ্জ পুরসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে ভাঙন নেমে এসেছিল। কংগ্রেস ছেড়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের অনুগামীরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। তাঁর মধ্যে মোহিত সেনগুপ্তের ডানহাত বলে পরিচিত সন্দীপ বিশ্বাস তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন। পবিত্র চন্দ গিয়েছিলেন বিজেপিতে। সন্দীপ বিশ্বাস তৃণমূলে গিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান হলেও, বিজেপিতে গিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে পবিত্র চন্দের। সেই কারণেই তিনি বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

[আরও পড়ুন:সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য! বৈধতা প্রশ্নে ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট ]
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন পবিত্র চন্দ। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে পবিত্র চন্দকে ঘরে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত রায়গঞ্জ। সেই রায়গঞ্জে ফের কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপরতা তুঙ্গে।
মাত্র ছ-মাসের মধ্যে পবিত্রবাবুর মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপির প্রতি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি রায়গঞ্জের উন্নয়নের কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এতদিনেও সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোনও ব্যবস্থাই করেননি তিনি। ফলে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সংঘাত শুরু হয়। তিনি বলেন, বিজেপি তরফে তাঁকে বলা হয়েছিল, রায়গঞ্জে নতুন ট্রেন দেওয়া হবে। তাও হয়নি। এসব কারণেই মতানৈক্যের জেরে পদত্যাগপত্র করলেন তিনি।
পবিত্রবাবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে আপনার? আপনি কি তবে ফিরে যাবেন কংগ্রেসে? তিনি জানান, এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কিছুদিনের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত সমাজসেবার কাজে মন দিতে চাই। যে দল আমাকে যোগ্য সম্মান দেবে, সেই দলেই যাব।
পবিত্রবাবু এই প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব কিন্তু তাঁকে দলে ফেরানোর ব্যাপারে আগ্রহী। মোহিতবাবুও দলে ফিরিয়ে নিতে চান পবিত্র চন্দকে। পবিত্র ফিরে এলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন করে শক্তি পাবে কংগ্রেস। মোহিতবাবুর কথায়, 'পবিত্র চন্দ দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও কংগ্রেসে ফিরতে চেয়েছে। আমরা ঘরের ছেলেকে ফিরিয়ে নিতে চাই।' আবার কংগ্রেসের সুদিন ফিরিয়ে আনাই মোহিতবাবুর প্রধান উদ্দেশ্য। তার জন্য পঞ্চায়েত ভোটই পাখির চোখ।