সমাজে বিভেদ তৈরি করে ত্রিপুরায় নির্বাচনে জিততে চাইছে বিজেপি। নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কড়া ভাষায় আক্রমণ বিজেপি ও তার জোট সঙ্গী আইপিএফটিকে।

৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামি ১৮ ফেব্রুয়ারি। ফল প্রকাশ ৩ মার্চ। সেখানে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম-জোটের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি-আইপিএফটি জোট। এই রাজ্যে একটানা ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম।
নির্বাচনী সভায় মানিক সরকারের অভিযোগ, জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলানো আইপিএফটির সঙ্গে জোট করেছে
বিজেপি। ক্ষমতা দখল করতে সমাজে বিভেদ তৈরি করছে তারা।
সমাবেশের জনতাকে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এর আগে ত্রিপুরাকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে। এখন সেই দাবি পরিবর্তিত হয়েছে আলাদা রাজ্যে। তাইপ্রাল্যান্ডের দাবি উঠছে।
নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় বলেও অভিযোগ করেছেন মানিক সরকার। তারাও রাজ্যকে ভাগ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আইপিএফটিকে এনএলএফটির মুখোশধারী সংগঠন বলে উল্লেখ করে বিজেপির সঙ্গে এই ধরনের সংগঠনের জোটের কড়া সমালোচনাও করেছেন মানিক সরকার। স্বাধীনতার সময় পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা লোকেদের রাজ্য থেকে উৎখাতের চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।