নতুন হাইস্পিড ট্রেন চালানোর চিন্তা ভাবনা করছে রেল। দুই শহরের মধ্যে রাতে ২০০ থেকে ২৫০ কিমি বেগে চলবে ট্রেন। বিষয়টি নিয়ে এবছরের এপ্রিলেই ঘোষণা করা হবে।

[আরও পড়ুন: বাংলার রেলে বিরাট বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাজেটে, মমতাকে কড়া জবাব মোদীর]
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রেল বোর্ডকে হাইস্পিড করিডর চিহ্নিত করার দায়িত্ব দিয়েছেন রেলবোর্ডকে। করিডর তৈরির খরচ কম করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০১৮-র এপ্রিলে ১০ হাজার কিমি রেলপথ নতুন হাইস্পিড করিডর হিসেবে ঘোষণা করবেন রেলমন্ত্রী। যেখানে ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২৫০ কিমি বেগে। রাতের মধ্যেই এইসব ট্রেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ট্রেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাওয়ার পর যাত্রী বাড়িতে পৌঁছেও অফিসে যেতে পারবেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাই স্পিড ট্র্যাক তৈরির খরচ বর্তমানে প্রতি কিমি ১০০ কোটি টাকা থেকে অর্ধেকে কমিয়ে আনা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ন্যাশনাল হাইওয়ের ওপর পিলার বসিয়ে হাইস্পিড করিডর তৈরি করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা এবং খরচ কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেও আশা করছেন রেলের আধিকারিকরা। অন্যদিকে, এই ছোট দূরত্বে হাইস্পিড রেল করিডরকে বিমানের বিকল্প হিসেবেও তুলে ধরা যাবে।
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে পুনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে সময় নেয় প্রায় তিন ঘণ্টা। সেই সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টায় কমিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে এই হাইস্পিড ট্রেনের মাধ্যমে।