ভবানীভবনে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে জেরার প্রস্তুতি চলছে। সূত্রের খবর, সেই মতো প্রস্তুতিও চলছে সরকারি পর্যায়ে। গ্রেফতার করা হলে ভারতী ঘোষকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রাখার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

ভারতী ঘোষকে কি আদৌ গ্রেফতার করা হবে, এই প্রশ্নও উঠছে। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় প্রাক্তন এই আইপিএসকে গ্রেফতারের সম্ভাবনা প্রবল।
তবে এরই মধ্যে অপর একটি সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। কোনও এক ব্যক্তি বিষয়টির মধ্যস্থতা করছেন। আপাতত ঠিক হয়েছে, ভারতী ঘোষ প্রতিবাদী হয়ে বিবৃতি দিলেও, এমন কিছু বলবেন না, কিংবা ফাঁস করবেন না, যাতে ওপরমহলের কেউ অস্বস্তিতে পড়েন। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের তরফে ভারতী ঘোষকে নিয়ে হইচই করা হলেও, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না।

তবে যদি ভারতী ঘোষকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের মামলায় গ্রেফতার করা হয়ও, হাই প্রোফাইল বন্দি হওয়ার কারণে তাঁকে মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হবে না। তাঁকে রাখা হবে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কথাও মাথায় রয়েছে সিআইডি কর্তাদের। অনেক মাওবাদীকেই ভারতী ঘোষ বন্দি করেছিলেন। ফলে জেল বন্দি হলে তাঁর নিরাপত্তার দিকটিও নজরে রাখছেন সিআইডির কর্তারা।
এখন ভারতী ঘোষকে সিআইডি আদৌ গ্রেফতার করতে পারে নাকি সেটাই এখন দেখার।