ফের মুখ খুললেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। মাদুরদহে বাড়ি তৈরিতে কালো টাকা বিনিয়োগের অভিযোগ উড়িয়ে অভিযোগ আনলেন সিআইডির বিরুদ্ধেই।

ফের অডিও বার্তা পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের। রবিবারের অডিও বার্তার প্রসঙ্গ মাদুরদহে আবাসনে সিআইডি হানা নিয়ে। মিডিয়ার সামনে এমনভাবে সিআইডি প্রচার করছে, যেন মাদুরদহের আবাসন কালো টাকায় তৈরি অভিযোগ ভারতী ঘোষের।
অডিও বার্তায় ভারতী ঘোষ দাবি করেছেন, আবাসনটি যখন তৈরি হয়েছে ভারতী ঘোষ তখন জেলার অ্যাডিশনাল এসপি কিংবা এসপি ছিলেন না। আইবি-সিআইডিতে কাজ করে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জে চলে যান। নাইরোবি, সোমালিয়ার মিশনে কাজ করতেন তিনি। সেই সময়ে মাদুরদহের ফ্ল্যাট তৈরির কাজ শুরু হয়। সরকারি অনুমতি নিয়েই ফ্ল্যাট তৈরির কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ভারতী ঘোষ। বাড়িটির বৈধতার মেমারান্ডাম এবং নোটিফিকেশন সবই তাঁর কাছে আছে বলে জানিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ অডিও বার্তায় দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জে কাজ করে মাইনে বাবদ আড়াই কোটি টাকা পেয়েছিলেন তিনি। যার পুরোটাই ছিল ডলারে এবং ট্যাক্স ফ্রি। এই টাকার পুরোটাই তিনি মাদুরদহের ফ্ল্যাট তৈরির কাজে লাগিয়েছিলেন।
ভারতী ঘোষ আরও বলেছেন, সকলের জানার যেমন অধিকার আছে, ঠিক তেমনই সত্যিটা সামনে আনার অধিকার তারও আছে। সেই অধিকার থেকেই এই তথ্য প্রকাশ করলেন তিনি। জানিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
এদিকে রবিবারেও ভারতী ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসার এবং তাঁদের আত্মীয়দের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। দাসপুর থানায় সোনা লুঠ মামলায় পুলিশ অফিসার রাজশেখর পাইনের শ্বশুরবাড়ি দাসপুরের রাধাকান্তপুরে তল্লাশি চালায় সিআইডি-র একটি দল।