উপনির্বাচন পর্ব শেষ হতেই ফের স্বমূর্তি ধারণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরে জেলা সফর শুরু করেই জনে জনে কৈফিয়ৎ চাইলেন। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের স্বকীয় ভঙ্গিতে ধমক দিলেন। তিনি জেলা পুলিশ সুপার সিসরাম ঝাঁঝারিয়াকে ধমক দিয়ে বলেন, পুলিশের কাজে কেন এত গাফিলতি? কেন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রোখার ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে দেরি করছে?

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে এসে খুন করে চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। অথচ পুলিশ কিস্যু করতে পারছে না। দুষ্কৃতীদের জালে পুরতে পারছে না পুলিশ। কেন আইনশৃঙ্খলার মতো ক্ষেত্রে এত ঢিলেঢালা ভাব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি এসব বরদাস্ত করব না। এদিন দুর্ঘটনার প্রকোপ নিয়েও প্রশাসনকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠকে শুধু পুলিশ সুপারকেই নয়, ধমক দেন জেলাশাসক, বিডিওদেরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মিড ডে মিল ঠিকমতো চলছে কি না, তা দেখতে হবে বিডিওদের। কিন্তু আমার কাছে খবর আছে সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে করা হচ্ছে না। জেলাশাসকও একশো দিনের কাজের তদারকিতে গাফিলতি করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন, জেলায় একশো দিনের কাজের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেলাশাসকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, জমি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। মানুষ যদি চান, তবেই মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কল্যাণী থেকে বেলঘরিয়া নতুন রাস্তা চালু করা হবে। এর ফলে কল্যাণী-বেলঘরিয়া যাতায়াতের সময় অনেকটা কমে যাবে। প্রতি বিধানসভায় শ্মশান সংস্কারের উপরও এদিন জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। ধুবুলিয়ায় টিবি হাসপাতালের জন্য শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানান তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধমক খান রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানও।
রবীন্দ্রভবন তৈরি নিয়ে তিনি যে প্রজেক্ট জমা দিয়েছেন, তা অনেক বেশি। ১১ কোটি টাকার প্রজেক্টকে কমিয়ে দু-কোটি টাকা করার কথা বলেন তিনি। এদিন গাড়ি কারখানা গড়ার কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে গাড়ি কারখানার জন্য হেনরি ফোর্ডের প্রপ্রৌত্রের ককাছে আবেদন করেছেন বলেও জানান।