মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর আশঙ্কা করা হয়েছিল বাংলার বুকে বিজেপির জোয়ার বইবে। তৃণমূলের প্রাক্তন 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ডে'র হাতে ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসবেন অনেকেই। মুকুলের আগমনের পর তুলনায় বিজেপি বাড়লেও, আদতে তৃণমূলের গায়ে কোনও আঁচড় কাটতে পারেনি গেরুয়া শিবির। একটার পর একটা নির্বাচনে শোচনীয় হারের মুখ দেখতে হয়েছে, এখনও আশাতীত সাফল্য দিতে পারেননি মুকুল রায়।

[আরও পড়ুন: বাইপাস সংলগ্ন যাদবপুর-বাঘাযতীনে ডায়ারিয়ার প্রকোপ, অসুস্থ বহু]
সেই মুকুল রায় ভোট-কৌশল নির্ধারণে ত্রিপুরায় গিয়ে বাংলার বুকে পদ্ম ফোটানোর সওয়াল করলেন। ত্রিপুরার জনসভা থেকে মুকুল রায় বলেন, 'ত্রিপুরায় এবার বিজেপি পতাকা উড়বেই। আর সেই জোয়ারেই পশ্চিমবঙ্গে ভেসে যাবে তৃণমূলের জনবিরোধী সরকার। বাংলায় পুলিশিরাজের সরকারকে উৎখাত করবে বিজেপিই। সেদিন আর বেশি দেরি নয়।'
এদিন মুকুল রায় ত্রিপুরাবাসীর কাছে আবেদন করেন, 'কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে। সেই উন্নয়ন যজ্ঞে এই রাজ্যকে সামিল করবেন কি না, তা পুরোপুরি আপনাদের হাতে। আপনারাই স্থির করুন বিজেপিশাসিত রাজ্যের সুফল লাভ করবেন কি না। ত্রিপুরা বিজেপি জিতলে এই রাজ্যেও উন্নয়নের ধ্বজা উড়বে।'
মুকুল বলেন, 'ত্রিপুরায় জিতলে পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূলের জনবিরোধী সরকারকে চরম বার্তা দেওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন ত্রিপুরায় তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূলের উত্থানের কাহিনি। ত্রিপুরার মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিলেন বলেই তৃণমূলের উত্থান হয়েছিল। কিন্তু তাঁরাও বুঝতে পেরেছে, তৃণমূলের পক্ষে বাম শাসনের অবসান ঘটানো সম্ভব নয়।'
তাঁর কথায়, 'ত্রিপুরার বাম সরকারের পতন ঘটাতে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন পরিবর্তনপন্থীরা। তাঁদের লক্ষ্য একটাই সিপিএমের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটানো। বিজেপি-ই তা পারবে বলে বিশ্বাস থেকেই কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব এই রাজ্য থেকে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।'
মুকুল রায়ের যুক্তি, 'এখন এ রাজ্যে যদি সিপিএমের অপশাসন মুক্ত করা যায়, যদি রাজ্যে বিজেপি পরিবর্তনের সরকার গড়া যায়, তা হবে প্রতিবেশী রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেও চরম বার্তা দেওয়া। সেদিকেই এগোচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রতিটি জনসভায় ভিড়ই বুঝিয়ে দিচ্ছে ত্রিপুরায় পদ্ম ফোটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।'
[আরও পড়ুন:উত্তর কলকাতায় সাত-সকালে বিস্ফোরণ, আতঙ্কে আমহার্স্ট স্ট্রিট, জখম ১ কিশোর ]