ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটলেই বাংলার পঞ্চায়েত নিয়েই ঝাঁপাবে বিজেপি নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে বাংলার মুখ হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে। এই মুহূর্তে বিজেপি রাজ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে এসেছে। তাঁদের প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো। এই অবস্থায় বিজেপি ভুগছে নেতৃত্ব অভাবে। বিজেপিতে নেতা অনেক রয়েছেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তুলে ধরার মতো কোনও মুখ নেই।

[আরও পড়ুন: বিধায়কদের জন্য খুলে গেল সমিতি-জেলা পরিষদের দুয়ার! আইনি গেরো খুলে বার্তা সুব্রতর]
তাই বাংলায় বিজেপির মুখ কে হবেন, সেই সন্ধানেই নেমেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে কে হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী, তা নিরূপণেই ব্যস্ত বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন। তিনি এখন বিজেপিতে। কিন্তু তিনি যতটা পিছন থেকে কাজ করতে পটু, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়াই দেওয়ার ক্ষেত্রে ততটা সাবলীল হবে না।
সেক্ষেত্রে নতুন মুখের সন্ধানে বিজেপি নেতৃত্ব বহুবারই তৃণমূল বা কংগ্রেসের বিশেষ দু-একজনের দিকে তাকিয়েছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। আর এইসব জল্পনার মধ্যে ভেসে উঠেছে এমন একটি নাম, তিনি ব্যক্তিত্বের নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।

[আরও পড়ুন:মোদীর মহাপ্রস্থানের পথ প্রশস্থ করলেন হার্দিক, মমতাকে দিলেন বিজেপিকে হারানোর 'মন্ত্র']
বিজেপি তাই ত্রিপুরার ভোট মিটলে রাজ্যপাল তথাগত রায়কে বাংলায় ফিরিয়ে আনতে পারেন। তাঁকে বাংলার মুখ করে তোলা হতে পারে। এমনিতেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে দলে। তার উপর তিনি সঙ্ঘ পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ। ফলে এক ঢিলে দুই পাখিও মারতে পারবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস।
মুকুল রায় এই মুহূর্তে অন্যতম প্রাণভোমরা। তা যতই তিনি উপনির্বাচনে বিজেপিকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছে, মুকুল রায় আসার পর রাজ্যে দলের বৃদ্ধি দ্রুতহারে হচ্ছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে, খুব শীঘ্রই তাঁরা জয়ের জায়গায় পৌঁছতে পারবেন। এরপর গ্রামের যুদ্ধ অর্থাৎ পঞ্চায়েতে একটু ভালো ফল করতে পারলেই রাজ্যের বুকে পদ্ম ফুটতে শুরু করবে।
কারণ পঞ্চায়েত ছোট ছোট জায়গায় ভোট। তৃণমূলের মতো বড় দলকে বড় জায়গায় হারানোর থেকে ছোট মাঠ অনেক বেশি সুবিধাজনক। আর বিজেপি যদি সেই ধাক্কাটা দিতে পারে, এরপরই পরবর্তী লোকসভা ও বিধানসভার আগে প্রস্তুত হতে রাজ্যে একজনকে দরকার বিকল্প মুখ হিসেবে। সেই জায়গাতেই তথাগত রায়কে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। সঙ্ঘও তথাগত রায়কে মুকুল রায়ের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ফায়দা তুলতে চাইছে।
[আরও পড়ুন:ত্রিপুরার গেরুয়া ঝড় উঠছে, কাঁপছে বাংলার কুর্সিও! মমতাকে চরম-বার্তা মুকুলের]