২০১৪-য় যে বিপুল আসনে জিতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, এই চার বছরে সেই বিশাল জনপ্রিয়তায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। তারই জেরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফল হয়েছে বিজেপির। মোদী-রাজ্যে কোনওরকমে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেও আর এক গেরুয়া-রাজ্য রাজস্থানের উপনির্বাচন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে পিছনে ফেলে উঠে আসছেন রাহুল গান্ধী।

এরই মধ্যে এবার উত্তর-পূর্ব ভারতে বিধানসভা নির্বাচন। তিন রাজ্যকে টার্গেট করেছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কংগ্রেস শূন্য ভারত গড়ার লক্ষ্যে এবার সিপিএমকেও ত্রিপুরায় বিনাশ করা অন্যতম লক্ষ্য বিজেপির। কংগ্রেস ও তৃণমূল ভেঙেই এই রাজ্যে ভিত গড়ে তুলেছে বিজেপি। খুব স্বল্প সময়ের রাজ্যে উত্থানে বিজেপি মনে করছে তারা বাম শাসনের অবসান ঘটাতে পারে।
এমনকী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্টে এমন আভাস মিলেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী বিজেপির পালে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শেয়ানে শেয়ানে লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই ফয়সালা হবে ত্রিপুরার। 'কাঁটে কি টক্কর'-এ সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে মাত দিতেও পারে বিজেপি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বিজেপিকে খানিকটা হলেও এগিয়ে রেখেছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী বিজেপি-জোট পেতে পারে ৩১ থেকে ৩৭টি আসন। আর বামফ্রন্ট পেতে পারে ২৩ থেকে ২৯টি আসন। বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মানিক সরকার এবারও বিপুল ভোট জয়ী হবেন বলেও জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে। তাঁর জনপ্রিয়তায় আঘাত হানতে পারবে গেরুয়া পার্টি। কংগ্রেস বা তৃণমূল একটি আসনও পাবে না বলেই রিপোর্টে প্রকাশ। এই অবস্থায় বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে, কেন্দ্রীয় রিপোর্টকে সত্য প্রমাণিত করতে। বিজেপি-র পক্ষ থেকে মোদী-শাহরা রবিবার থেকে শুরু করে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০টি বড় সভা করবে।
এখানে কংগ্রেসের কোমর আগেই ভেঙে দিয়েছে বিজেপি, তৃণমূলের ঘাসফুলও শুকিয়ে গিয়েছে, এমতাবস্থায় লাল-সাম্রাজ্যকে ফিকে করে গেরুয়া ঝড় তুলতে তৈরি বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অনুকূলে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকায় বাড়তি উৎসাহ নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারা। আইপিএফটিকে নিয়ে জোট গড়ে এবার ত্রিপুরার মানিক সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মোদী-শাহরা। এবার মিশন সফল করতে মরিয়া তাঁরা।