পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। তাঁর জায়গায় বাংলার দায়িত্বে আনা হতে পারে অন্য কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে। সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। বিজেপি নেতৃত্ব এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটলেও, বিজেপির নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রচারে নেই, কৌশলে আছেন মুকুল! নতুন দায়িত্ব পেয়ে সক্রিয় প্রাক্তন তৃণমূলী 'চাণক্য']
রাজ্যে উপনির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপিতে রদবদল নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিশেষ করে নোয়াপাড়া উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মঞ্জু বসুর নাম ঘোষণা থেকেই এই সম্ভাবনার কথা বেশি করে আলোচিত হচ্ছে। তারপর থেকে দলীয় কর্মসূচিতে কম দেখা যাচ্ছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। তার ফলে জল্পনা আরও বেড়েছে।
মুকুল রায়ের মধ্যস্থতায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মঞ্জু বসু ও বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মধ্যে গোপন বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই মঞ্জুদেবী বিজেপির টিকিটে নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে কথা দেন বলে মুকুল-কৈলাশ দাবি করেন। এরপর ঘটা করে কৈলাশ-মুকুলের কথায় মঞ্জু বসুকে দলে যোগদান না করিয়েই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। আর এই ঘোষণার পরই মঞ্জু বসু পাল্টি খেয়ে জানিয়ে দেন, তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত একজন সৈনিক।

[আরও পড়ুন:'মা'য়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, সিআইডি-হানায় বিপর্যস্ত ভারতী এবার আদালতের দ্বারস্থ]
ভোটের আগেই প্রার্থী ঘোষণায় মুখ পুড়িয়ে নির্বাচনী লড়াই থেকে কয়েক যোজন পিছিয়ে যায় বিজেপি। এই ঘটনা বিচক্ষণতার অভাবে হয়েছে বলেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের অভিমত। এর দায় যেমন মুকুল রায় এড়াতে পারেন না, তেমনই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও এড়াত পারেন না। তাই তখন থেকেউ বঙ্গ বিজেপিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার বদলির ঘণ্টা বেজে যায়। তারই নিরিখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের সেই চর্চাই শুরু হয়েছে। বিজেপিও নতুন নেতার হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে, কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে কি না।