কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টি প্রধান সনিয়া গান্ধী বৃহস্পতিবার ফের একবার দলে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ছেলে তথা বর্তমান কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বেই দল এগোতে চলেছে, তাঁর নেতাও রাহুল সেটাও সনিয়া স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি ২০১৯ সালে বিজেপিকে হারাতে বৃহত্তর জোটের পক্ষেও তিনি সওয়াল করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ, সহিষ্ণুতা ও আর্থিক প্রগতির জন্য বিজেপিকে হারানো আশু প্রয়োজন বলে ব্যাখ্যা সনিয়ার।

কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সনিয়া বলেছেন, সময় যে বদলাচ্ছে তা গুজরাতে ও রাজস্থানে সাম্প্রতিকতম নির্বাচনে স্পষ্ট। বিরোধী শক্তির হাত মজবুত হচ্ছে।
কংগ্রেস সভাপতি ও অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তিনি কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন সনিয়া। এক্ষেত্রে তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, বিজেপিকে হারাতে চায়, এমন সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে আগামী লোকসভা ভোটে লড়তে হবে। সেক্ষেত্রে বাম, তৃণমূল ও কংগ্রসকে আগামী ভোটে এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে ভোটে লড়তে দেখাও অসম্ভব নয়।
এর আগেই সনিয়া গান্ধী বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যমত্যে পৌঁছে জোট বাঁধার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী দিনে বিভিন্ন দলের মধ্যে সমন্বয় সাধনে তিনি যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেবেন তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেস সহ বিরোধীদের যা অবস্থা তাতে আগামী লোকসভা ভোটে জোট না বাঁধলে কেন্দ্র থেকে বিজেপি তথা এনডিএ-কে সরানো সহজ হবে না। সেটা বুঝতে পেরেই বিরোধী দলগুলি এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। একসময়ে যেমন বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী ফ্রন্টের কথা হয়েছিল, এখন শুধুই বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি একজোট হওয়ার কথা ভাবছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাহুল গান্ধী দলের নেতৃত্বে আসার পরে কংগ্রেস গুজরাত নির্বাচনে ভালো ফল করেছে। ক্ষমতা না পেলেও ১৮২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জোট ৮০টি আসন পেয়েছে। পাশাপাশি রাজস্থানে তিনটি উপনির্বাচনেও কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। আর এসব দেখেই বিরোধী শিবির বৃহত্তর জোট বেঁধে আগামী লোকসভা ভোটে জয়ের লক্ষ্যে নামতে চাইছে।