রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের সংসদ সদস্যরা বিএনপির সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য মাঠে থেকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, শুধু এতিমের টাকা মেরে খাওয়া নয়, সারাবিশ্বে সর্বোচ্চ দুর্নীতিবাজ প্রমাণিত হয়েছে জিয়া পরিবার। আর খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়কে ঘিরে সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও কেন? জনগণের এ প্রশ্নের উত্তর খোদ বিএনপি নেতারাও বলতে পারছেন না। তাই আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ জিয়া পরিবারকে বাংলাওয়াশ করবে জনগণ।
গতকাল বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, সরকারি দলের তানভীর ইমাম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, সোহরাব হোসেন, আবদুল মজিদ খান, আবদুর রহমান বদি, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, জাসদের নাজমুল হক প্রধান ও জাতীয় পার্টির (এ) এ কে এম মাঈদুল ইসলাম। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, সরকারের নয় বছরে যে কাজ হয়েছে, তা অতীতের সব সরকারের সামগ্রিক কাজের চেয়ে বেশি। এটা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে আমরা সবাই মিলেমিশে বসবাস করবো।
সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে সংবিধান সমুন্নত রেখে দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত রাখা যায়। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী বলেন, বিশ্বের তৃতীয় সত্ ও কর্মঠ প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। জনগণের টাকা চুরি করে লন্ডনে প্রতিমাসে ৫০ হাজার পাউন্ড তারেক জিয়া ব্যয় করে, যা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর খরচের চেয়েও বেশি।
জাসদের নাজমুল হক প্রধান বলেন, খালেদা জিয়া আসলে ভোট করতে চান না। তিনি শুধু জোট করতে চান। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকার কারণে অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি রাজধানীতে ভিআইপি লেনের পরিবর্তে পেইং জোন স্থাপনের দাবি জানান।
আবদুর রহমান বদি তার নির্বাচনী এলাকায় রোহিঙ্গা ঢলের কারণে স্থানীয় গরীব-দুঃখী মানুষের চরম দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, আগামী বর্ষার আগেই রোহিঙ্গাদের দ্রুত সরিয়ে না নিলে পাহাড় ধসে অনেকের মৃত্যু ঘটতে পারে।
ইত্তেফাক/আনিসুর