ত্রিপুরায় এবারে বিধানসভা ভোটে প্রধান লড়াই হতে চলেছে বাম বনাম বিজেপির। এটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই বলে কংগ্রেস একেবারে ভোটের আগেই হার স্বীকার করে নেবে তা বোধহয় কেউ ভাবতে পারেননি। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ কিন্তু সাফ জানাচ্ছেন, ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সেরকম আশা নেই। তবে একইসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছেন তিনি।

কংগ্রেসের হয়ে বড় নেতাদের মধ্যে তিনি ত্রিপুরায় প্রচার সেরেছেন। বামেরা এমনকী বিজেপি ত্রিপুরায় যেভাবে প্রচারে সাড়া পাচ্ছে তেমনটা হচ্ছে না কংগ্রেসের সঙ্গে। তা দেখেই গগৈ বলেছেন, এটা স্বীকার করতেই হবে, এরাজ্যে এই মুহূর্তে আমাদের বিশেষ সুবিধা করার জায়গা নেই। তবে লড়াই থেকে পিছিয়ে আসাও উচিত নয়।
বিজেপির ত্রিপুরায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে কারণ তারা কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে ছোট রাজ্যে ক্ষমতা বাড়াতে তাদের সুবিধা হয়েছে। কাড়ি কাড়ি কালো টাকা খরচ করে ত্রিপুরায় প্রচার সারছে বিজেপি। এমনটাও অভিযোগ করেছেন তরুণ গগৈ।
সিপিএম-কংগ্রেস বাংলায় হাত ধরাধরি করে লড়লে ত্রিপুরায় কেন লড়ছে না? এই প্রসঙ্গে গগৈয়ের ব্যাখ্যা, বিজেপি বিভেদের রাজনীতি চরমে উঠলে সারা দেশে টেনশন তৈরি হলে এমনটা খাটে বিশেষ পরিস্থিতিতে। তখনই ধর্মনিরপেক্ষ জোট তৈরির প্রাসঙ্গিকতা তৈরি হয়।
ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে বিজেপিকেই নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা গগৈ। তিনি বলেছেন, বিজেপি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টি। হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে অসমে প্রথমে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। পরে তাকে দলে নিয়ে মন্ত্রী করে দিল। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও একই পন্থা বিজেপি অবলম্বন করেছে।
অসমে বোরোদের বিভেদের রাজনীতি করার পরে ত্রিপুরার তপশিলিদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই অসমের মতো ত্রিপুরা দখলের খেলায় মেতেছে বিজেপি। অভিযোগ গগৈয়ের।