এবার প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং। বিহারের কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং-এর অভিযোগ উঠেছে। ১০০ টাকার বিনিময়ে প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং-এর অডিও হয়েছে ভাইরাল।

ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা আমরা সকলেই শুনেছি। কিন্তু তাই বলে প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং। মুজাফফরপুর-সহ বিহারের একাধিক স্টেশনে এই প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং-এর অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মধ্যরেলের কাছে এই সংক্রান্ত কিছু অডিও পৌঁছে গিয়েছে। যাতে শোনা যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে থাকা ভেন্ডাররা রেল আধিকারিকদের মাত্র ১০০ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদল করে দিচ্ছেন।
এটা প্রচলিত সত্য যে কোনও স্টেশনে ট্রেন ঢুকলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেই স্টেশনের বিক্রি বেড়ে যায়। মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি বাড়াতেই বেশি সংখ্যায় ট্রেন একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে ঢোকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
পূর্ব মধ্য রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা অডিও ক্লিপ পেয়েছেন। সেখানে জানা যাচ্ছে ভেন্ডার তাঁর বিক্রি বাড়ানোর জন্য, রেল আধিকারিককে ঘুষ দেওয়ার কথা বলছেন। বিনিময়ে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদল করা হচ্ছে একেবারে শেষ মুহূর্তে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পূর্ব মধ্য রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, বিশেষ ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্ম আগে থেকে ফিক্সড হয়ে থাকে। বিশেষ করে ইন্টারসিটি এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে এই ধরনের ফিক্সিং হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে তার বদল করা হচ্ছে।
শোনপুর ডিভিশনে এই ধরনের কাজে রেলের কাজে ব্যাঘাত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রেল আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মুজফফরপুর স্টেশনে কর্মরত রেলের তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অডিও রেকর্ডিং-এ এই তিনজনের নাম উঠে এসেছিল বলে জানিয়েছেন পূর্ব মধ্য রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক। বেশ কয়েকজনকে বদলিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলের ভিজিল্যান্স টিম ঘটনার তদন্ত করছে। মুজফফরপুর ছাড়াও অন্য কোনও স্টেশনে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্ল্যাটফর্ম ফিক্সিং আটকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে রেল। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের ব্যাপারে জোনাল হেড কোয়ার্টার থেকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশও জারি করা হয়েছে।